ফের ঘন কুয়াশায় দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চালের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০ টা থেকে বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। দীর্ঘ ১২ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় পাড়ে নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে নদী এলাকায় ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাত বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশার ঘনত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে। রাত ১০ টার দিকে নৌপথ কুয়াশার চাদরে ঢেকে ফেলে। এ পরিস্থিতিতে রাত পৈানে ১০ টার দিকে বিআইডব্লিটিসি কতৃপক্ষ যে কোন ধরনের দূর্ঘটনা এড়াতে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষনা করে। সকাল ১০টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব কিছুটা কমে এলে ফের ফেরি চলাচল শুরু হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুটে ফেরি চলাচল টানা ১২ ঘন্টা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী ও পরিবহন চালকরা। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় নদীর শীতল বাতাসের মধ্যে সারা রাত আটকে থাকায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছে শিশু, রোগী,মহিলা,ও চালকরা।
যশোর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা মেট্রো ছ- ৭১- ৩৪৮২ রোগী সহ এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার মোঃ আয়নাল হোসেন বলেন, রাত ৩ টার সময় যশোর থেকে রোগী নিয়ে ঢাকার হার্ড ফাউন্ডোশন এ যাবো। ঘাটে এসে জানতে পারি যে কুয়াশার জন্য ফেরি বন্ধ রয়েছে। রোগীর বড় ছেলে মুকুল হোসেন বলেন, রাত ৩ টার সময় মাকে নিয়ে ঘাটে এসে বসে আছি, কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় অসুস্থ মাকে নিয়ে কখন নদী পার হয়ে ঢাকার যাবো বলতে পারছি না।
একে ট্রভেলস পরিবহনের যাত্রী মাহাতাব হোসেন বলেন, রাত সাড়ে ১১ টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে সিরিয়ালে আটকে আছি। পরে জানতে পারি কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘাট এলাকায় রাত থেকে এখন পর্যন্ত আটকে থেকে চরম দূর্ভোগে রয়েছি।
যশোর থেকে পান বোঝাই ট্রাক ড্রাইভার পলাশ সেক বলেন, কুয়াশার মধ্যে ঘাটে ফেরি চলাচল না করায় আটকে পড়েছি। শীতের রাতে প্রচুর কষ্ট হয়েছে। ২য় পদ্মা সেতু হলে আমাদের য়াতায়াতে এত কষ্ট হতো না। আমরা দৌলতদিয়া - পাটুরিয়া ২য় পদ্মা সেতুর দাবী করছি।
এদিকে ঘাটে কুয়াশায় ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় জীবনের ঝুকি নিয়ে ট্রলার যোগে যাত্রী পার হতে দেখা গেছে।
বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহ ব্যবস্থাপক মো. মাহাবুব হোসেন ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল রাত ১০ টা থেকে বন্ধ রাখা হয়েছিল। এই নৌরুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। দূর্ভোগ কমাতে আটকে থাকা যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নদী পার করা হবে বলে জানান তিনি।