ঝালকাঠি সদর উপজেলার ৬ নম্বর বাসন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকার প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চাইছেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সাবের আহমেদ। একজন হাস্যোজ্জল ও মিষ্টভাষী শেখ সাবের আহমেদ অতীতের ইতিবাচক রাজনীতির ধারাকে মুলধন হিসেবে কাজে লাগিয়ে ইতোমধ্যে তৈরি করেছে শক্তপোক্ত অবস্থান। এই রাজনৈতিক ঝালকাঠি সদর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।
এবার অন্তত লক্ষ্য, তার জন্মস্থানের মাটি ও মানুষের সেবা করাসহ ইউনিয়নবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা। বর্তমানে ইউনিয়টির বেহাল অবস্থার নিয়ে জনমনে ক্ষোভ থাকা এবং এরই মাঝে শেখ সাবের আহমেদের প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা ইউনিয়নবাসীকে আশার আলো দেখাচ্ছে। পৌরসভার পার্শ্ববর্তী বাসন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে নিজেকে জনসেবায় বিলিয়ে দেয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। অবশ্য এতেই তিনি খুঁজছেন তার রাজনৈতিক জীবনের স্বার্থকতা দেখছেন বলে মন্তব্য শোনা গেছে।
রাজনীতিতে আসার নেপথ্যের কারণ তুলে ধরে এ প্রতিবেদককে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সাবের আহমেদ বলেন, আমি আমার প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুর অুপ্রেরণাই আমার রাজনীতিতে আসা। ২০০৭ সালে সালে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। তখন ব্যাপক ষড়যন্ত্র করে আমাকে ভোটের মাঠে হারানো হয়। তখন আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোবারক হোসেন মল্লিক। সে সময় আমাকে অনেক চাপ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শচ্যুৎ হইনি। এরপর ২০১১ সালের ইউপি নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করি। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন মল্লিককে। সে সময় আমি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি।
শেখ সাবের আহমেদের অভিযোগ, মোবারক হোসেন মল্লিক চেযারম্যান নির্বাচিত হলেও এলাকার কোনো উন্নয়ন হয়নি। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে তার জনসমর্থন আদায়ে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জোর করে সই নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাসন্ডা ইউনিয়নে যেমন উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল, সেটা তা হয়নি। নাগরিকদের যেসব অধিকার রয়েছে, সেখানে অনেক ঘাটতি রয়েছে।