ঝালকাঠির রাজাপুরের শুক্তাগড় ইউনিয়নের কেওতা গ্রামে চরিত্র খারাপ এমন অপবাদ দিয়ে স্বামীর নির্যাতনে মুন্নি আক্তার (২৩) নামে পাঁচ বছর বয়সী এক সন্তানের জননীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্নি আক্তারের মামা ছালাম হাওলাদার বাদিয়ে হয়ে রাজাপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে একমাত্র আসামি মুন্নির স্বামী শাহজামাল হাওলাদার পলাতক রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যার এ মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে ঝালকাঠি মর্গে প্রেরন করেছেন। মুন্নি কেওতা গ্রামের শাহ জামাল হাওলাদারের ৩য় স্ত্রী ও হাজীরহাট এলাকার মো. মঞ্জুরুল হকের মেয়ে। স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শাহ জামাল হাওলাদারের ৫ স্ত্রীর মধ্যে মুন্নি ৩য়। বেকার শাহজামাল কোন কর্ম না করায় পেটের তাগিদে ছেলেকে স্বামীর কাছে রেখে মুন্নি ঢাকায় পাড়ি জমান। সেখানে গিয়ে লোকের বাড়িতে বাড়িতে ঝিয়ের কাজ শুরু করেন মুন্নি। মাঝে মধ্যে ঢাকা থেকে এলাকায় এসে ছেলেকে দেখে যেতেন তিনি। গত সোমবার মুন্নি ছেলেকে দেখতে ঢাকা থেকে স্বামীর বাড়িতে এলে স্বামী ও ছোট সতীনের সাথে ঝগড়া বাধে। পরে ছোট সতীন রাগ করে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। ওইসব ঘটনার জের ধরে স্বামী শাহজামাল ক্ষিপ্ত হয়ে মুন্নি ঢাকায় খারাপ কাজ করে এমন অপবাদে দিয়ে ঢাকায় যেতে বারন করেন। নিয়ে মঙ্গলবার তার স্বামী শাহজামাল মারধর করে। পরদিন বুধবার মুন্নি ঢাকায় রওনা দিলে তার স্বামীর মধ্যে আবার ঝগড়া ও বাকবিতদন্ডা শুরু হলে মুন্নিকে ফের মারধর করে। পরে মুন্নিকে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখে স্বজন ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। রাজাপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার রাতে থানায় রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠি মর্গে পাঠানো হয়। ওসি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্নির মামা বাদি হয়ে স্বামী শাহজামালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আসামি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।