‘আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যত। হাম এবং রুবেলা ভাইরাসজনিত দুটি মারাতœক সংক্রামক রোগ। এই দুটি রোগ সাধারণত একজন আক্রান্ত রোগীর হাঁচি-কাশির মাধ্যমে তার সংস্পর্শে আসার অন্যান্যের মধ্যে অতি দ্রুত ছড়ায়। আগামী প্রজন্মকে সুস্থ ও সবলভাবে বড় হতে তাঁদের সকল হাম রুবেলা টিকা প্রদান করতে হবে। তাঁদের সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের আপনাদের সকলের। এ লক্ষ্যে আগামী ১২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ জানুয়ারী ২০২১ পর্যন্ত সারাদেশের ন্যয় রাজশাহী মহানগরীতেও ৯ মাস থেকে ১০ বছরের কম বয়সী প্রায় ৭৫ হাজার ৭শ ৪০ শিশুকে ১ ডোজ হাম-রুবেলা টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরভবনের সিটি হল সভাকক্ষে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
রাজশাহী মহানগরীতে জাতীয় হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় দেশের মধ্যে অনন্য প্রতিষ্ঠান। ইপিআই টিকাদান কর্মসূচিতে পরপর ৯বার দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। রাসিকের স্বাস্থ্যবিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।
এরপর একইস্থানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কয়েকটি শিশুকে টিকা প্রদানের পর মেয়র টিকা প্রদান কার্ড বিতরণ করে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
রাসিকের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্যরক্ষা ব্যবস্থা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকুর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ এনামুল হক, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসিনা মমতাজ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে রাসিকের কাউন্সিলরবৃন্দ, বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার সার্ভিলেন্স ইমুনাইজেশন মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম, পরিচালক স্বাস্থ্য’র সহকারী পরিচালক ডাঃ আনোয়ারুল কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় হাম রুবেলা ক্যাম্পেইনের সার্বিক কার্যক্রমের ভিডিও চিত্র উপস্থাপন করেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে জানান, রাজশাহী মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ২টি কেন্দ্র প্রতি কার্যদিবসে ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। এ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নে ১৩২ জন টিকাদানকারী ৬০জন সুপারভাইজার এবং ৭শ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত রয়েছে।