বাগেরহাটের শরণখোলায় উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মো. দেলোয়ার হোসেন নামের এক বৃদ্ধের জমি দখল করে নিচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। জমি দখলের জন্য ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধকে নানা রকম ভয় ভীতিও দিচ্ছে মহলটি।
শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা এলাকার সাবেক মেম্বার ও মাস্টার নিরিহ দেলোয়ার হোসেন বলেন, রায়েন্দা বাজারের উপর আমার জমি হওয়ায় পার্শ্ববর্তী রায়েন্দা আর,কে,ডি,এস বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ সেলিম হোসেন সহ ৪/৫ জন আমার জমি জোরপূর্বক দখল করার চেস্টা করে আসছিল। আমি জমি রক্ষার স্বার্থে ২০১৯ সালে মার্চ মাসে হাইকোর্টে নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করি। ওই মামলায় আদালত আমার মালিকানাধীণ রায়েন্দা মৌজার ১৩১৭ ও ১৩১৬ খতিয়ানের এস.এ ৪৭৩/৪৭৮ হাল দাগ ২৬৬৭ ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। আমার জমির ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড প্রদান করি। পরবর্তীতে স্কুল কর্তৃপক্ষ সাইনবোর্ড উপরে ফেলে দেয়। তখন আমি তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করি হাইকোর্টে। মামলা চলাকালীন সময়ে কিছুদিন চুপচাপ থাকার পরে গত ১ নভেম্বর জমিতে বিবাদীরা আবোরো পাকা কাজ শুরু করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আমি অনুপায় হয়ে ৫ নভেম্বর বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কাছে কাজ স্থাগিত করার জন্য লিখিত আবেদন করি। তিনি শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশনা অনুযায়ী ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় ওসি সাহেব দু’ পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেখনে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার কাগজপত্র দেখে কাজ বন্ধ রেখে মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন ওসি। তারপরও তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। পরবর্তীতে আমি শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছেও অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা ও একই ঘটনায় ভাইয়েলেশন মামলার বিবাদী রায়েন্দা মডেল হাইস্কুলের শিক্ষকসহ তার অপর ৪ সহযোগী থানা পুলিশ, ইউএনও, পুলিশ সুপার, এমনকি হাইকোর্টের নির্দেশও মানছে না। আমি এখন কোথায় যাব।