১৪ দলের মুখপাত্র আলহাজ¦ আমির হোসেন আমু এমপি ও তার পরিবারের সদস্যকে জড়িয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্যের ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত জেলা আ.লীগ আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. রুহুল আমিন রেজভীকে ৩দিনের রিমান্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক হযরত আলী তদন্তকালে ঘটনায় সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা উল্লেখ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডাবেদন জানালে আদালতে বিচারক মোঃ তারেক সামশ ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আমির হোসেন আমু এমপি ও তার পরিবারের সদস্যকে জড়িয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্যের ঘটনায় ০৬ ডিসেম্বর আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক এড. আসম মোস্তাফিজুর রহমান মনু বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শেখ রাব্বি ও অজ্ঞাত ৩/৪জনকে আসামি করে মামলা (নং-৭) দায়ের করে। ঐ দিন রাতেই জেলা ছাত্রলীগের য্গ্মু সাধারন সম্পাদক শেখ রাব্বীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হযরত আলী তদন্তকালে প্রধান সাক্ষী ইসরাত জাহান সোনালীর জবানবন্দী গ্রহন কালে সে আ.লীগ নেতা রেজভীর নাম প্রকাশ করেন। তাৎক্ষনিক ভাবে পুলিশ আ.লীগ নেতা রেজভীর খোজে নামলে সে ঢাকায় অবস্থান করছে জানতে পেরে তাকে মোবাইলে ফোন দিয়ে জরুরী ভিত্তিতে ঝালকাঠি থানায় যোগাযোগ করতে বললে পরের দিন ৮ডিসেম্বর সকালে সে থানায় উপস্থিত হয়। সেখান থেকে রেজভীকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ডিবি পুলিশ মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান সোনালীর দেয়া তথ্য সম্পর্কে ও দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় তার মোবাইল ফোন ও ফেসবুক আইডি তল্লাশী করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলায় সম্পৃক্ততা পেয়ে রাত সাড়ে ৯টায় থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে দিন ৯ডিসেম্বর বুধবার বিকাল সোয়া ৩টায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আ.লীগ নেতা রেজভীকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডাবেদন জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে বৃহস্পতিবার শুনানী শেষে এআদেশ দেন।
উল্লেখ্য ১৪ দলের মুখপাত্র আলহাজ¦ আমির হোসেন আমু এমপি ও তার পরিবারের সদস্যকে জড়িয়ে অপপ্রচারের ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক ও এড. মনু বাদী হয়ে জেলা ছাত্রলীগ যগ্মসম্পাদক শেখ রাব্বিসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলায় দায়ের করেন।
এ মামলায় আ.লীগ নেতা রুহুল আমিন রেজবী ও ছাত্রলীগ নেতা শেখ রাব্বী জেলা হাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় শহরের পালবাড়ী এলাকার সুভাষ সিংহ রায় ও অনিক নামে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেন। এছাড়াও আরো একাধিক ছাত্রলীগ নেতাকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে দন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হযরত আলী জানান।