নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভাধীন রাস্তায় পণ্যবাহী যান্ত্রিক যানবাহনের উপর ১-১-২০২১ থেকে ৩১-১২-২০২২ পর্যন্ত এক বছর মেয়াদী রোডটোল ইজারা আদায়ের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। টেন্ডার জালিয়াতির বিষয়ে জেলা প্রশাসক’র নিকট কাশেম এ- ব্রাদার্স নামীয় ইজারাদার আবুল কাশেম অভিযোগ দাখিল করেন। ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে পৌর কার্যালয়ে টোল এর টেন্ডার ওপেন করা হয়।
অভিযোগের বিবরণে জানা গেছে, দুর্গাপুর পৌরসভা স¥ারক নং-দুর্গা/পৌর/২০২০/৬৫৪ এর ইজারাকৃত রোড দুর্গাপুর-বিরিশিরি রাস্তা ও শিবগজ্ঞ-দক্ষিণভবানীপুর রাস্তার রোডটোল ইজারা বিজ্ঞপ্তি নং-০১/২০২১ মূলে বিধি বহিঃর্ভূতভাবে দরপত্র আহবান করেন। সেখানে পৌরসভাধীন টোল আদায়ের নিমিত্তে হালনাগাদ নবায়নকৃত(ইজারা ট্রেড লাইসেন্সধারী) তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন। ঐ দিন বিকেলে টেন্ডার জমা বাক্স খুলে টেন্ডারে অংশ গ্রহণকারী তিনটি আবেদনের খাম খোলা শুরু করেণ পৌর মেয়র আবদুস ছালাম। একটি খাম সিলগালা অবস্থায় ঐ সময় মেয়র তাঁর পকেট থেকে একটি দরখাস্ত বের করে বলেন আবদুর রাজ্জাক নামীয় টেন্ডার খামটি ফেরত দেওয়ার জন্য একটি আবেদন পাওয়া গেছে। ফেরত দেওয়া আবেদনটির ইজারাদার ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক। তৎক্ষনাত এ অনিয়মের প্রতিবাদ করলে টেন্ডার সংশ্লিস্টরা চুপ থেকে দরপত্রে অংশ নেয়া অন্য ইজারাদার অঞ্জন সরকার লিটনকে ৬৫,০০০০০/=পয়শট্টি লক্ষ টাকা মূল্যে ইজারা প্রদান করেন পৌর কর্তৃপক্ষ। অপর ইজারাদার আবুল কাশেম এর টেন্ডার মূল্য ৪৬,০০০০০/= চেছল্লিশ লক্ষ টাকা উল্লেখ ছিল।
ভুক্তভোগী ইজারাদার আবুল কাশেম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পৌরসভার রোডটোল ইজারায় ব্যাপক অনিয়ম ও কারসাজি করা হয়েছে। যেটি কোনভাবেই কাম্য বা মেনে নেওয়ার মতো নয়। বিষয়টি তদন্তপূর্বক পুণঃটেন্ডার আহবান করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেছেন টেন্ডারে অংশগ্রহনকারী ঠিকাদার আবুল কাশেম। এ বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম,র কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমার দপ্তরে অভিযোগটি জমা হয়েছে শুনেছি তবে এর প্রয়োজনীয় কার্যক্রম এখনো হাতে নিতে পারিনি।
পৌর রোডটোল অনিয়মের বিষয়ে পৌর মেয়র আবদুস ছালাম এ প্রতিবেদককে বলেন অভিযোগকারীদের অভিযোগের কোন সত্যতা নাই বিধি মোতাবেক নিয়মতান্ত্রিকভাবেই টেন্ডার ওপেনিং কার্যক্রম করা হয়েছে।