গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরসভা নির্বাচনে নানা জল্পনা-কল্পনা সংশয় আর সন্দেহের অবসান ঘটিয়ে বেসরকারী ভাবে প্রথমবারের মত পৌর মেয়র নির্বাচিত হলেন আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব। তিনি ৪ হাজার ৩৯৫ ভোট বেশি পেয়ে জয়লাভ করেন।
শতভাগ ইভিএম-এর মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন অবাধ-নিরপেক্ষ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কোনরুপ অঘটন ছাড়াই নিরবিচ্ছিন্ন ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি দলীয় মনোনীত এবং স্বতন্ত্রসহ ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেন। এছাড়াও সংরতি মহিলা কাউন্সিলরের ৩টি ওয়ার্ডে ২২ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলরের ৯ ওয়ার্ডে ৮৪ জন প্রার্থীসহ মোট ১১২ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পৌরসভা নির্বাচনে ১৬ কেন্দ্রের ফলাফলে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব নারকেল গাছ প্রতীকে ১০ হাজার ২৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকতম প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে আবু বকর প্রধান পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৬৭ ভোট।
এদিকে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরদের মধ্যে ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে জান্নাত আরা শিরিন (চশমা) প্রতীক ২৪২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। নিকতম প্রার্থী জাহানারা বেগম (টেলিফোন) প্রতীক পেয়েছেন ২৩৪০ ভোট। ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে সাজেদা বেগম (দ্বিতল বাস) প্রতীক ১৭৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। নিকতম প্রার্থী রাবেয়া খাতুন (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন ১৭১৮ ভোট। ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে শাহিনুর বেগম (অটোরিক্সা) প্রতীক ১৬২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকতম প্রার্থী আয়েশা সিদ্দিকা (টেলিফোন) প্রতীক পেয়েছেন ১৪৬১ ভোট। সাধারণ কাউন্সিলরের ১নং ওয়ার্ডে মাহমুদুল হাসান (ডালিম) প্রতীক ৫৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকতম প্রার্থী আবদুল বাকি মিয়া (উটপাখি) প্রতীক পেয়েছেন ৪৭৩ ভোট। ২নং ওয়ার্ডে মঞ্জুরুল তালুকদার (পানির বোতল) প্রতীক ৮৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকতম প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান (উটপাখি) প্রতীক পেয়েছেন ৫৮০ ভোট। ৩নং ওয়ার্ডে আবদুস সোবহান মন্ডল বিচ্ছু (ডালিম) প্রতীক ৮৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকতম প্রার্থী মাহামুদ হাসান (ব্রিজ) প্রতীক পেয়েছেন ৮৪২ ভোট। ৪নং ওয়ার্ডে মাসুদ করিম প্রধান (পানির বোতল) প্রতীক ৪৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকতম প্রার্থী আকতারুজ্জামান টিটু (টিউবলাইট) প্রতীক পেয়েছেন ৪০৭ ভোট। ৫নং ওয়ার্ডে মতিয়ার রহমান (স্ক্রু ড্রাইভার) প্রতীক ৪৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকতম প্রার্থী সৈয়দ আরেফিন আহম্মেদ সাগর (ব্রিজ) প্রতীক পেয়েছেন ৪১৯ ভোট। ৬নং ওয়ার্ডে লিটন মিয়া (উটপাখি) প্রতীক ৫৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকতম প্রার্থী মমিনুল ইসলাম (ডালিম) প্রতীক পেয়েছেন ৫৬৭ ভোট। ৭ নং ওয়ার্ডে রবিউল ইসলাম সুমন (ডালিম) প্রতীক ৫৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। হয়েছেন। নিকতম প্রার্থী রাজা মিয়া (পানির বোতল) প্রতীক পেয়েছেন ৩৯৭ ভোট। ৮নং ওয়ার্ডে আসাদুজ্জামান শেখ ফরিদ (গাজর) প্রতীক ১৩৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকতম প্রার্থী জাহাঙ্গীর ইবনে জোবায়েদ মিলন (স্ক্রু ড্রাইভার) প্রতীক পেয়েছেন ৮২৮ ভোট। ৯নং ওয়ার্ডে আজাদুল ইসলাম মন্ডল (পাঞ্জাবি) প্রতীক ৬৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকতম প্রার্থী রেজাউল করিম (উটপাখি) প্রতীক পেয়েছেন ৪৯৭ ভোট।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ডিসেম্বর এ পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহনের দিন নির্ধারণ করা হয়। পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩১ হাজার ৬’শ ২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১৫ হাজার ৩’শ ৩৫ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ২’শ ৬৮ জন। নির্বাচন চলাকালীন ছোট-খাট বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানা যায়।
নব-নির্বাচিত পৌর মেয়র গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব নির্বাচন পরিচালনায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য ছাড়াও ২৪ গ্রামের সর্বস্তরের সম্মানিত সকল নাগরিক ভোটারদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।