বরগুনার মৎস ব্যবসায়ীদের অধিকার বঞ্চিত করে মৎস ভবনের স্টল কোটি টাকার বিনিময়ে অন্য ব্যবসায়ীদের ইজারা দেয়ার অভিযোগে শুক্রবার সকালে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে বরগুনা ক্ষুদ্র মৎস ব্যবসায়ী সমিতি ও আড়ৎদার ব্যবসায়ীগন।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, পুরাতন মাছ বাজারটি ভাঙ্গার পূর্র্বে মাছ বাজারের সকল আড়ৎদার ও সাধারন মৎস ব্যবসায়ীদের মতামতের জন্য মেয়র মাছ বাজারে এসে সকলের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ঘোষনা করেন মাছ বাজার শুধুমাত্র মাছ ব্যবসায়ীদের ভোগ দখলে ও ব্যবহারে থাকবে। মাছ বাজারের নীচতলা ও ২য় তলা আড়ৎদার ও সাধারন মৎস ব্যবসায়ীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে এবং নীচতলার উত্তারাংশে মাছ পাইকারী বিক্রির জন্য খোলা থাকবে। কিনÍু নির্মান শেষ করে কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে মাছ বাজারের পশ্চিমাংশ ও ২য় তলার ষ্টল করে কোটি টাকা জামানত নিয়েু মাছ ব্যবসায়ীদের বঞ্চিত করে অন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে দোকান বরাদ্দ দিয়াছেন। যেটা তার কাজ করার পূর্বের কথার সম্পূর্ন বরখেলাপ। এমনকি শিড়ির নিচের অংশে রুম নির্মান করে ১০ লক্ষ টাকা জামানত নিয়া বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরফলে মৎস ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন
হচ্ছে এবং উল্টো মৎস ব্যবসায়ীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও ক্ষতির চেষ্টা চলছে।প্রকৃত মৎস ব্যবসায়ীদের ষ্টল বরাদ্দ দেয়া না হলে মানববন্ধন বিক্ষোভ সহ বৃহৎ কর্মসূচীর ঘোষনা দেন মৎস ব্যবসায়ীগন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৎস ব্যবসায়ী ও আড়ৎদার সমিতির সভাপতি জহিরুল হক পনু, সহ সভাপতি আবদুল আজিজ পহলান, সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান,সাবেকসভাপতি মাসুম পহলান, মোঃ বাচচু চৌধুরী, দেলোয়ারু হোসেন আকন, রাসেল পহলান।
এ বিষয়ে বরগুনা পৌরসভার মেয়র মোঃ শাহাদাত হোসেন বাবুল বলেন, আসন্ন
পৌরসভা নির্বাচনের সুযোগ নিয়ে আমার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী অ্যাডভোকেট
কামরুল আহসান মহারাজের ইন্দনে মৎস ব্যবসাযীরা বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় তৈরি রাষ্ট্রীয় ভবনের ২য় তলা দখল করেছে।মহারাজ তাদেরকে মামলা মোকাবেলা করার আস্বাস দিয়েছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন দিয়েছি। যে সকল ব্যবসায়ীদের আমি কথা দিয়েছি তাদের ষ্টল বরাদ্দ দিয়েছি।