কৃষি প্রধান বাগেরহাটের চিতলমারীতে স্লুইস গেটের অব্যবস্থাপনার কারণে চাষাবাদ দারুণ ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে প্রায় ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার চাষি চরম বিপাকে পড়েছেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু পদক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি।
ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চিত্রা নদীতে নির্মিত স্লুইস গেটের মুখে কচুরিপনায় আঁটকে যাওয়ায় সেখানে পলি জমে নদী ভরাট হয়ে গেছে। এতে জোয়ার-ভাটার পানি ঠিকমত ওঠা-নামা করতে না পারায় নদী সংলগ্ন বারাশিয়া, কালশিরা, রুয়েরকুল, বেন্নাবাড়ি, সোনাখালি, শ্রীরামপুরসহ অংখ্য বিলের পানি আঁটকে আছে। এ পরিস্থিতিতে আশপাশের প্রায় ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার বোরো চাষি চাষাবাদ নিয়ে চিন্তিত। যথা সময়ে বিলের পানি অপসারণ না হলে দারুণ ভাবে বোরো আবাদ ব্যাহত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু পদক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার চাষিরা।
উপজেলার পাড়ডুমুরিয়া গ্রামের রাজ্জেশ্বর বাড়ৈ, তপন রানা ও শ্রীরামপুরের সুজিৎ রায়, চিত্ত বালাসহ অনেকে হতাশা ব্যক্ত করে জানান, এলাকার চাষিরা বোরো চাষের উপর নির্ভরশীল কিন্তু এ বছর স্লুইস গেটের মুখে কচুরিপণা আঁটকে যাওয়ায় সেখান থেকে বিলের পানি নদীতে নামতে পারছে না। এতে করে বিলে অতিরিক্ত পানি জমে থাকায় সময় মতো বোরো আবাদ অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধাধানের দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে চিতলমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ নিজাম উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে তিনি ঘুরে এসেছেন। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
পানিউন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, পলি অপসারণের জন্য আমাদের বাজেট রয়েছে। এর মাধ্যমে সেটি অপসারণ করা হবে। তবে কচুরিপণা পরিস্কারের জন্য স্থানীয় লোকজনকে এগিয়ে আসা দরকার।