রাজশাহীর বাগমারায় এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে খাজা ময়েন উদ্দিন নামের এক আ.লীগ কর্মীর জমি জোরপূর্বক জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। কলেজ শিক্ষক আবদুল কুদ্দুস তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো ভুক্তভুগির উপরেই দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের ঝাড়গ্রামে। জমি দখলের পর থেকেই আ.লীগ কর্মী খাজা ময়েন উদ্দীন জমি উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শনিবার সকালে তিনি জমির মালিকনার কাগজপত্রসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন।
জমির কাগজপত্র ও খাজা ময়েন উদ্দীনের ভাষ্যমতে জানা যায়, বাপ জাদার পত্রিক সূত্রে তিনি জমির মালিক হয়ে ভোগদখল করে আসছেন। কিছু দিন পূর্বে থেকেই একই এলাকার কলেজ শিক্ষক আবদুল কুদ্দুস ওই সকল জমির অংশীদার হিসেবে দাবী করে বসেন। স্থানীয় লোকজন কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে খাজা ময়েন উদ্দীনের পক্ষে রায় দেন। কলেজ শিক্ষক স্থানীয় লোকজনের রায় উপেক্ষা করে জমি জবরদখলসহ আদালতে মামলা ও থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করছেন। কলেজ শিক্ষক আবদুল কুদ্দুসের আত্মীয় পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলে তিনি এমন ধরনের কর্মকা- করছেন বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। এছাড়াও খাজা ময়েন উদ্দীনের ক্রয়কৃত ২৯ শতক জমিও তিনি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছেন। কাগজপত্র যাচাই-বাচাইয়ে দেখা যায় খাজা ময়েন উদ্দীন জমি ক্রয় করে তার নামে খারিজ খাজনা পরিশোধ করেছেন। অথচ কলেজ শিক্ষক আবদুল কুদ্দুস ক্রয়কৃত জমি গুলো তিনি জবরদখল করে নিয়েছেন।
খাজা ময়েন উদ্দীন অভিযোগ করেন, বাপ দাদার পত্রিক সম্পত্তির অংশ মোতাবেক তিনি ভোগদখল করে আসছেন। তার ভোগদখলী সম্পত্তির খাজনা খারিজ তার নামে করে সরকারী রাজস্ব দিয়ে আসছেন। কিলেজ শিক্ষক এলাকার জামায়াত পন্ত্রী ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে আমাকে হেনেস্তা করার জন্যই এমন ধরনের কর্মকা- শুরু করেছেন। তিনি জমির কাগজপত্র যাচাই-বাচাইয়ের মাধ্যমে প্রকৃত মালিককে হয়রানী না করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক আবদুল কুদ্দুসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জমি গুলো তার বলে দাবী করেছেন। খাজা ময়েন উদ্দীনের ক্রয়কৃত সম্পত্তি জবরদখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বার বার এই প্রতিবেদকের সাথে দেখা করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
জানতে চাইলে ঝিকরা ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারন সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মানিক প্রাং জানান, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে জমি গুলোর কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে দেখা গেছে, প্রকৃত জমির মালিক খাজা ময়েন উদ্দীন। আবদুল কুদ্দুসের আত্মীয় পুলিশের কর্মকর্তা বলে তিনি এলাকার কাউকে পাত্তা দেন না। ওই সকল জমি নিয়ে যে কোন সময় বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে বলে আ.লীগের সাধারন সম্পাদক মানিক প্রাং মনে করেন।