কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত ইটনা উপজেলার বাদলা ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা সৈয়দ আতিকুর রহমানের (৪৬) মৃত্যু হত্যাকান্ড নাকি সড়ক দূর্ঘটনা জানতে চেয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (১৩ ডিসেম্বর) রোববার দুপুরে নিহত সৈয়দ আতিকের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করে দোষীদের শাস্তির দাবিতে শহরের শেরাটন হোটেলে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের পরিবার ও এসএসসি ১৯৯০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সহপাঠীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নিহতের মা মোছাম্মৎ খাইরুননেছা বাসনা, ছোট ভাই সৈয়দ আহসানুল আদিল, মেয়ে সৈয়দা মিথিয়া রহমান, কিশোরগঞ্জ সরকারী বালক উচ্চবিদ্যালয় এ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের হামীম নুফা, কামরুল ইসলাম উজ্জল, মাসুদুল হাসান, রেজাউল করিম শিপন, শামস তুষার, কিশোরগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোশাররফ হোসেন খান, এক্সিম ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার ম্যানেজার মোহাম্মদ দীদারুল আরেফিন, ইফতেখারুল আলম পারভেজ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, নিহত আতিকের শরীরের কোন অংশে কাটা, ছিলা বা ঘষা লাগার দাগ ছিল না। এ ছাড়া যে মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিল সেটি সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে অনেকদূরে গ্রামের মাটির রাস্তায় দাঁড় করানো অবস্থায় পাওয়া যায়। আর ঘটনাস্থলে যেই মোটরসাইকেলটি পাওয়া গেছে (কিশোরগঞ্জ- হ ১২-৬০১৭) পুরাতন চামটার ওয়াহিদের ছেলে সাইফুলের। চালকের সাথে থাকা শাহ আলম বর্তমানে পুলিশী হেফাজতে রয়েছে। তারা অভিযোগ করে বলেন, চালক সাইফুল বর্ণিত যে মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিল সেটির মালিক বাদলা ইউনিয়নের রেজাউল করিমের।
তারা আরও বলেন আতিকের মৃত্যু নিয়ে যে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে তার প্রকৃত সত্য উম্মোচনের এখন সময়ের দাবি। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার।
প্রসঙ্গত, গত রোববার নিহত সৈয়দ আতিকুর রহমান সকালে শহরের নগুয়া বাসা থেকে মোটরসাইকেলে একা কর্মস্থল ইটনা উপজেলার বাদলায় যাচ্ছিলেন। পথে করিমগঞ্জ উপজেলার মনসন্তোষ এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। পরে স্থানীয়রা সড়কে গুরুতর আহত অবস্থায় আতিককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা সাবেক ইউপি সচিব সৈয়দ আবু সাহিদ বাদী হয়ে সাইফুল ইসলামসহ আরও কতককে আসামি করে ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহণের আইনের ৯৯/১০৫ ধারামূলে মামলা দায়ের করেন (নং-১০(২৭২) দায়ের করেন।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মমিনুল ইসলাম বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে চালকের সাথে থাকা নিয়ামতপুরের দেওপুরের বাসিন্দা শাহ আলমকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড চাওয়া হবে।