দলের কোন পদ-পদবী নেই। গত সংসদ নির্বাচনে ধূলাসার স্কুল মাঠের এক সভায় বর্তমান এমপি অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমানের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে নৌকা প্রতীকের সমর্থন দিয়েছেন। এটিই শেষ এবং সর্বোচ্চ দলীয় পরিচয়। অথচ; কুয়াকাটা পৌরসভার নির্বাচনে স্বতন্ত্র তকমা ব্যবহার করে নৌকার বিদ্রোহী হিসেবে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। বর্তমানে এই বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ রয়েছেন। কারণ সাবেক এমপি জাপার সাবেক মহাসচিবের কুয়াকাটার ডান হাত হয়ে এই আনোয়ার হাওলাদার জমি দখল কেন্দ্রীক বিতর্কিত কাজ করেছেন। কলাপাড়া পৌরসভায় চৌরাস্তা এলাকায় মহাসড়কের পাশের সরকারি খাস জলাশয় ভরাট ও দখল করে ভবন করেছেন। ভূমি প্রশাসন কয়েকদিন দৌড়ঝাপ করে যেই সেই। এখন চলছে ব্যবসা-বাণিজ্য। আওয়ামী লীগের দুই একজন প্রভাবশালী নেতার ইন্ধনে আনোয়ার হাওলাদার দলে অনুপ্রবেশকারী হয়ে কৌশলে স্বতন্ত্র পরিচয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রাথীর বিরুদ্ধচারণ করার মিশনে নেমেছেন। এমনটাই মনে করছেন কুয়াকাটার আওয়ামী লীগ দলীয় নিবেদিত কর্মী-সমর্থকরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুয়াকাটার উন্নয়নে কলাপাড়া উপজেলার সদরে পৌরসভা থাকলেও কুয়াকাটাকে পৌরসভায় উন্নীত করেন। এটি কুয়াকাটা পৌরসভার দ্বিতীয় নির্বাচন। ইতোমধ্যে কুয়াকাটার উন্নয়নে সরকার মাস্টারপ্ল্যান করেছে। এখন জনপ্রতিনিধি হিসেবে কুয়াকাটার মেয়র পদটি আওয়ামী লীগের হাতছাড়া করতে কুয়াকাটার একজন কাউন্সিলরসহ চিহ্নিত কয়েকজন নেতা কৌশলে বিদ্রোহী প্রার্থী দাড় করেছেন। এমন গুজবের ডালপালা বিস্তৃত হচ্ছে। নইলে আনোয়ার হাওলাদার জাতীয় শোক দিবস কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জাতির পিতার ছবি, প্রধানমন্ত্রী এবং স্থানীয় এমপির ছবি সংবলিত ব্যানার, পোস্টার এবং ফেস্টুন টানিয়েছেন। সে এখন কীভাবে স্বতন্ত্র হয়ে নৌকার বিরোধী হিসেবে নেমেছেন মেয়র নির্বাচনে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকা-ে সমাবেশে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে জাহির করে আসছেন আনোয়ার হাওলাদার। আবার এখন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচন করেছেন। আওয়ামী লীগের বহু ত্যাগী নেতা বলেছেন, আনোয়ার হাওলাদার মূলত নীল নকশার অংশ হিসেবে স্বতন্ত্র পরিচয়ের আড়ালে দৃশ্যত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীতায় নেমেছেন। আর এর ফলে প্রধানমন্ত্রীর সৃষ্টি কুয়াকাটা পৌরসভার নৌকা প্রতীকের বিরোধী হিসেবে কৌশলে এখন আনোয়ার প্রতিদ্বন্ধী হয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দের দিনে সকল প্রার্থী প্রতীক পেয়েছেন। ‘জগ’ প্রতীকে এখন কুয়াকাটার মেয়র পদে ভোট প্রার্থনা করছেন বলে জানালেন। বিদ্রোহী প্রার্থী প্রসঙ্গে আনোয়ার হাওলাদার বলেন, ‘ আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিদ্রোহী মনে করতেই পারে।’ কারণ হিসেবে তার আক্ষেপ, প্রায় দুই বছর আগে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। প্রাথমিক সদস্যপদ দেয়া হয়নি। তৃণমূলের বাছাইতে অংশ নিতে না দেয়ার জন্য এসব করা হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা, বিএনপি মনোনীত আবদুল আজিজ মুসল্লী, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মো. নুরুল ইসলাম প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। নেমেছেন ভোটযুদ্ধে। আট হাজার এক শ’ ১১ জন ভোটার অধ্যুষিত এ পৌরসভায় আগামী ২৮ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।