আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলার হিজলা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুইগ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।
হামলায় গুরুত্বর আহত পুলিশ সদস্যদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনার পর পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উপজেলায় রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত রাখার নির্দেশ জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। ফলে বুধবার মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শুধু উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পালন করা হয়েছে। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ। এরপূর্বে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় সংলগ্ন খুন্নাগোবিন্দপুর এলাকায়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন সন্ধ্যা রাতে স্থানীয় সাংসদ পঙ্কজ নাথের অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলায়মান হোসেন শান্ত এবং উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগমের পুত্র নাঈম হোসেন মোটরসাইকেলযোগে খুন্না বন্দর থেকে উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। খুন্নাগোবিন্দপুর এলাকা অতিক্রমের সময় সেখানে উপস্থিত থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ টিপুর অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তানভির তার সহযোগিদের নিয়ে শান্ত ও নাঈমের উপর হামলা চালায়।
সূত্রে আরও জানা গেছে, হামলার খবর ছড়িয়ে পরলে ছাত্রলীগ সভাপতির সহযোগিরা রাত দশটার দিকে প্রতিপক্ষ গ্রুপের ওপর হামলা চালায়। এ সময় উভয়ের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
সংঘর্ষের ঘটনায় হিজলা থানার ওসি (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম তারেক ও চার পুলিশ কনস্টেবলসহ উভয়গ্রুপের কমপক্ষে অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়। এ সময় পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
হিজলা থানার ওসি অসীম কুমার সিকদার বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।