ভৈরবের কালিকাপ্রসাদে ট্রাক-সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৩ জন এবং আহত হয়েছে ৩ জন। নিহতদের মধ্যে ২ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলো নিকলী উপজেলার জালালপুর গ্রামের গোলাপ মিয়ার পুত্র রবিন(১৬) ও একই উপজেলার নোয়াগাও গ্রামের সাহেবআলীর পুত্র হাদিছ মিয়া (৫০) ও অজ্ঞাত ১ জন বয়স (৪০) বলে জানা গেছে। তবে আহতরা হলো কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের মো:নুর আলীর পুত্র মোঃ ফরিদ মিয়া(৩৩),একই উপজেলার পিতল হাটি গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে সিএনজির চালক আঃ খালেক(৫৮) ও জালালপুর গ্রামের মো: নবী হোসেনের পুত্র মো: ইসমাইল(৩২)। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করেছে।
ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে কিশোরগঞ্জ নিকলী উপজেলা সদর থেকে ছেড়ে আসা ভৈরবগামী যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিক্সার সাথে কিশোরগঞ্জগামী একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই সিএনজির ১ যাত্রী নিহত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে সিএনজির আরো ২ জন যাত্রী মারা যায়। তারা হলো নিকলী উপজেলার জালালপুর গ্রামের গোলাপ মিয়ার পুত্র রবিন(১৬) ও একই উপজেলার নোয়াগাও গ্রামের সাহেবআলীর পুত্র হাদিছ মিয়া (৫০) ও অজ্ঞাত ১ জন বয়স (৪০) বলে জানা গেছে। আহত ৩ জনের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতালের টিএচও মোহাম্মদ খোরশেদ আলম জানিয়েছেন।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ মামুনুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহতদের মধ্যে ২ জনের পরিচয় জানা গেছে তারা হলো নিকলী উপজেলার জালালপুর গ্রামের গোলাপ মিয়ার পুত্র রবিন(১৬) ও একই উপজেলার নোয়াগাও গ্রামের সাহেবআলীর পুত্র হাদিছ মিয়া (৫০) ও অজ্ঞাত ১ জন (৪০)। ঘটনার পর পর ট্রাক চালক পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।