আজ সকাল পৌনে ৭ টায় জয়পুরহাট হিলি সড়কের পুরানাপৈল রেল ক্রসিং এ রাজশাহীগামী উত্তরা এক্সপ্রেস ও হিলি গামী একটি লোকাল বাসের সংঘর্ষ হওয়ায় ঘটনাস্থলেই বাসের ১০জন যাত্রী এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরো ২জনসহ মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়। আহত ৩জন গুরুত্বর হওয়ায় তাদের বগুড়ায় পাঠানো হয়। নিহত ১২ জনের মধ্যে ৭ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন একই পরিবারের দুই ভাই সরোয়ার হোসেন বাবু (৩৫), রাব্বি (২৫) উভয়ের পিতা আলতাফ আলী গ্রাম আটুল পাঁচবিবি, জিয়া (৬০) (বাসের কন্ডাক্টর) কদমতলী, পাঁচবিবি, সাজু (২৭) পিতা, কাজী নজরুল ইসলাম, গ্রাম জামালগঞ্জ, রমজান আলী (৪০) পিতা মানিক হোসেন, গ্রাম হিচমী, জয়পুরহাট সদর, বাবু (৪৫) পিতা সোনা মিয়া, গ্রাম বিজয়কান্দি, জেলা নওগাঁ, আবদুল লতিফ (৩৫), পিতা শরীফ উদ্দিন, গ্রাম দোগাছী, জয়পুরহাট সদর। ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেদসহ বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় জয়পুরহাট শহরের নতুন বাটার মোর থেকে ৬.৪২মিটিটে জয়পুরহাট হিলি-সড়কের চলাচলরত বাধন পরিবহন (বগুড়া জ ১১-০০০৮) হিলির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ৬.৫৫ মিনিটে বাসটি পুরানাপৈল রেল গেট খোলা থাকায় রেল ক্রসিং পার হতে গেলে পার্বতীপুর থেকে রাজশাহী গামী উত্তরা এক্সপ্রেসের সাথে প্রচন্ড গতিতে ধাক্কা খায়। ফলে বাসটি ভেঙ্গে তসনছ হয়ে যায়। বিকট শব্দের কারণে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলের দিকে ছুটে যায়। ঘটনাস্থলেই ১০জনের মৃত্যু হয়। ড্রাইভার, হেলপারসহ আহত ৫জনকে জয়পুরহাট ফায়ার ব্রিগেড, জয়পুরহাট সদর থানা পুলিশ উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে ভর্তির পর ৫জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের সকার ১০ টার পরে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। পথেই বাসের কন্টাক্টর জিয়া এবং যাত্রী আবদুল লতিফ পেশায় রাজমিস্ত্রী মৃত্যুবরণ করে। বাসের ড্রাইভার মামুনসহ আরো ৩জন আশংকাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। দুর্ঘটনার পর পার্বতীপুর শান্তাহার লাইনে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ শরিফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোঃ সালাম কবির, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র রায়, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর ইসলাম রকেট, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সম্পাদক গোলাম হক্কানিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দ হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল দেখতে যান।