গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে গভীর ভাবাবেগ ও আকুতিপূর্ণ মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শনিবার আলমী শূরার তত্ত্বাবধানে দুই দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা (পরামর্শমূলক সভা) সমাপ্ত হয়েছে। মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর ইহ ও পারলৌকিক কল্যাণ কামনা করে মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে অশ্রুসিক্ত নয়নে মিনতি জানানো হয়। গভীর ভাবাবেগপূর্ণ পরিবেশে ‘আমীন, আল্ল¬¬াহুম্মা আমীন’ ধ্বনিতে মহামহিম ও দয়াময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে অপার করুনা ও অশেষ রহমত কামনা করেছেন তিন চিল্লার সাথীরা।
কাক্সিক্ষত মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বি মাওলানা ফারুক আহমেদ। দুপুর ১২ টা ১৮ মিনিট থেকে শুরু করে ১২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ১২ মিনিট স্থায়ী আবেগঘন মোনাজাতে হাজারো কন্ঠে উচ্চারিত হয়েছে রাহমানুর রাহীম আল্ল¬¬াহর মহত্ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব।
আলমী শূরার তত্ত্বাবধানে আগামী ৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি প্রথম পর্ব এবং ১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব ইজতেমা হওয়ার কথা রয়েছে। করোনা মহামারির কারণে আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমা আদৌ হবে কিনা বা হলেও বড় আয়োজনে হবে নাকি সীমিত পরিসরে হবে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।
এব্যাপারে আলমী শূরার তত্ত্বাবধানে আয়োজিত ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরুব্বি ডা: কাজী সাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের ব্যাপারে কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের ইজতেমা সংশ্লিষ্ট উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ আলোচনার পর বলা যাবে আগামী ইজতেমা স্বল্প পরিসরে হবে, নাকি বৃহৎ আকারে হবে।
শনিবার বাদ ফজর সমবেত তিন চিল্লার মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে উর্দু ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন পাকিস্তান রায়ভেন্ড মারকাযের তাবলীগ জামাতের মুরুব্বি মাওলানা ফাহিম আহমেদ। তার বয়ান বাংলায় ভাষান্তর করেন বাংলাদেশের মাওলানা দেলোয়ার হোসেন। মোনাজাতপূর্ব হেদায়েতি বয়ান করেন পাকিস্তান রায়ভেন্ড মারকাযের তাবলীগ জামাতের মুরুব্বি ডা: নওশেদ। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা আবদুস সবুর।
এব্যাপারে জিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার(অপরাধ দক্ষিণ) ইলতুৎ মিস বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে তিন চিল্লার সাথীদের ২৪ ঘণ্টার পরামর্শসভা শেষ হয়েছে। পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী মোনাজাতের পরপরই সমবেত মুসল্লিরা ময়দান ত্যাগ করতে শুরু করেছেন।