গাজীপুরের টঙ্গী দত্তপাড়া রিয়া গার্মেন্ট এলাকা থেকে গৃহবধুকে অপহরণ, জোরপূর্বক গণধর্ষণ ও নগ্ন ভিডিও ধারণের অভিযোগে নির্যাতিতার স্বামীর বন্ধুসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা (নং-৩২) দায়ের করা হয়েছে। শনিবার দত্তপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার তিন আসামি সৈয়দ রায়হান হোসেন ওরফে সাদ্দাম (২৮), আবদুর রহমান (৩২) ও জসিমকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার বিবরণ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী নির্যাতিতা গৃহবধু (৩০) ও তার স্বামী মিলন দত্তপাড়া আলম মার্কেটের আলী হোসেনের ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। গত (১০ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সাংসারিক বিষয়াদি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্বামী মিলন ওই গৃহবধুকে ঘর থেকে বের করে দিবে এবং তালাক প্রদান করবে বলে হুমকি প্রদান করেন। ওই গৃহবধু বিষয়টি তার স্বামীর বন্ধু সৈয়দ রায়হান হোসেন ওরফে সাদ্দামকে অবহিত করে। পরে রায়হান গৃহবধুকে জানায় আমরা শুক্রবার দুপুরে এসে মীমাংশা করে দেবো। পরদিন (১১ডিসেম্বর ) শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে রায়হান ওই গৃহবধুকে ফোনে জানায় ঝগড়ার বিষয়টি মীমাংশা করার জন্য তারা দত্তপাড়া রিয়া গার্মেন্ট এর মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে। রায়হানের ফোন পেয়ে ওই গৃহবধু রিয়া গার্মেন্ট এর সামনে গেলে তাকে পূর্ব থেকে অপেক্ষমান একটি সিএনজিতে তুলে রায়হানের ঢাকা ভাটারাস্থ নতুন বাজারের বাসায় নিয়ে রায়হান হোসেন, আবদুর রহমান ও জসিম জোরপূর্বক একাধিকবার পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে আবদুর রহমান তার মোবাইলে গৃহবধুর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে তারা মোবাইলে ধারণকৃত নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করে। একপর্যায়ে নির্যাতিতা গৃহবধুকে একটি সিএনজিতে উঠিয়ে টঙ্গীর দত্তপাড়া বর্তমান বাসায় পাঠিয়ে দেয়। পরে নির্যাতিতা গৃহবধু গত শুক্রবার টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই তিন আসামীকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের হেফাজত থেকে নগ্ন ভিডিও ধারণকৃত মোবাইলটিও উদ্ধার করা হয়।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।