গত কয়েক দিনের টানা শৈত্য প্রবাহ ও হিমেল হাওয়ায় কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলা বাসীকে শীতে কাহিল করে ফেলেছে। পূর্ব দিকে ভারতের পাহাড় আর পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদ থাকার কারলে ওই চরে শীতের তীব্রতা বেশি। ফলে শীতে যুবুথুবু হয়ে পড়েছে ছিন্নমুল মানুষ। পৌষ মাসের প্রথম দিন থেকেই শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে। দিনে রাতে শুধু বৃষ্টির মত শিশির পড়ছে। বাড়ছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র শীতের কারণে অনেক হাস-মুরগী মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শৈত্য প্রবাহের ফলে খেটে খাওয়া মানুষগুলো কাজকর্ম করতে পারছেনা। কুয়াশার কারণে ঢাকাগামি বাস এবং নদী পথে স্যালো নৌকা গন্তবে পৌঁছতে দেরি হচ্ছে। সন্ধ্যায় ছেড়ে আসা চিলমারি ও গাইবান্ধার নৌ-যাত্রীদের কে অনেক সময় নদীতেই রাত্রি যাপন করতে হচ্ছে বলেও শোনা গেছে। বালিয়ামারী ব্যাপারী পাড়া গ্রামের বৃদ্ধা লেহারী বেওয়া(৭০)জানান,কি ঠান্ডা পড়েছে বাবা। ঠান্ডায় হাত-পা কোকরা লাগছে। আমি বুড়ি মানুষ আমার ভাগ্যে ১টি কম্বলও জোটেনি। তবে শীতার্তদের মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৩ শত ৫০ পিচ শীত ব¯ (কম্বল)প্রদান করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় নগন্ন। মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুপাখী শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে। প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহের ফলে শাকসবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাজারে শাক সবজির দাম বেড়ে গেছে। এ ব্যাপারে রাজিবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানিয়েছেন সরকারি ভাবে ১৩৫০ পিচ শীত বস্ত্র উপজেলার ৩ ইউনিয়নের শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। সরকারের পাশিাপাশি এনজিও ও বৃত্তবানদের শীতার্তদের পাশে দাড়ানো দরকার বলে মনে করছেন রাজিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জননেতা আকবর হোসেন হিরো।