খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এ দেশ আরো আগেই উন্নতির শীর্ষে পৌঁছাতো। তাঁরই উত্তরসুরী সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার সে স্বপ্নকেই বাস্তবে রূপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশ আজ উন্নতির মহাসড়কে। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় থেকেও বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারিনি। কিন্তু এখন আমরা অনেক ঐক্যবদ্ধ। এখন কেউ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গতে এলে শুধু প্রতিবাদ নয়, বরং প্রতিরোধ এবং প্রতিহত করা হবে।
খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, মহামারি করোনার দূর্যোগেও দেশে কেউ না খেয়ে মরেনি। একটি দল ঘরে বসে অনেক কথা বলে। কিন্তু তারা এ দূর্য়োগে জনগনের পাশে দাঁড়ায়নি, কোন ত্রান দেয়নি, এগিয়ে আসেনি এ সংকট মোকাবেলায়। করোনার দূর্যোগে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদেরই দেখা গেছে জনতার পাশে দাঁড়াতে, তাদের সেবা করতে।
রোববার বিকালে তিনি নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জেলা পরিষদ মিলনায়তনের মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা দানকালে এ কথাগুলো বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঈশ^র চন্দ্র বর্মন।
নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লবের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসাইন, মহিলা ভাইস চয়ারম্যান নাদিরা বেগম, ইউএনও জয়া মারীয়া পেরেরা, এসিল্যান্ড নিলুফা সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খালেকুজ্জাসান তোতা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ভাবিচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক উৎপল কান্ত সরকার পিন্টু, প্রমূখ।
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং অসুস্থ ও দুস্থ্যদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবীল হতে ১০ লক্ষ ১০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন।