কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর মেজবাহুল ইসলামকে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর্তমান কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোবায়াৎ ফেরদৌসী। উপজেলা অফিস সূত্রে জানাযায়, ২০১৯ সালের ২৭ মে ভিজিডির চাল আত্মসাতের উদ্দ্যেশ্যে ছয়সূতী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩০ বস্তা চালঅন্যত্র সরিয়ে নেয়। পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আজিজ ঘটনাস্থলে পৌছে ৩০ বস্তা চাল জব্দ করে গুডাউন সিলগালা করেন।
জানাযায় ভূয়া কার্ডধারী ৩ জনকে ১০ বস্তা করে ৩০ বস্তা চাল দেয়ার জন্য এ চাল সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।এ ঘটনায় ৮ জুলাই ২০ ১৯ সালে উপজেলা কৃষি,যুব উন্নয়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কে নিয়ে ৩ সদস্য কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হয়।পরে কমিটি তদন্ত করে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে। তদন্ত রিপোর্টের পর চলতি বছরের ১২ মার্চ স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে যুগ্ন সচিব এম ইদ্রিস ছিদ্দিকী তদন্ত করে চাল আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণ পায়। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিস্কার করে।
এ বিষয়ে ছয়সূতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর মেজবাহুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ভিজিডির চাল আত্মসাৎ করেননি। সাবেক ইউএনও কাউছার আজিজের ষড়যন্ত্রের স্বীকার তিনি।