কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বয়ষ্ক ভাতা প্রদানের তালিকা ভূক্তির শর্তানুযায়ী পুরুষ ৬৫ ও মহিলার ৬২ বছর বয়স না থাকায় অনলাইন ডাটাবেইজ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অনেক কার্ডধারী ভাতা ভোগীরা ভাতা উত্তোলন করতে পারছেন না। জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখ ও ভাতা বইয়ে উল্লিখিত জন্ম তারিখের মধ্যে ব্যাপক গড়মিল থাকায় ডাটাবেইজ না হওয়ায় সমাজসেবা অফিস থেকে ব্যাংকে তাদের তালিকা পাঠানো হচ্ছে না। তারা ভাতা উত্তোলন করতে না পারায় কার্ডধারীরা সমাজসেবা অফিস ও ব্যাংকে ভিড় করছেন। ভাতা না পাওয়ায় ধার দেনা ও দোকানের বাকী পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন। ১৮৮৩ নং বয়ষ্ক ভাতার কার্ডধারী মোঃ মহর উদ্দিন, পিতা- মৃত আছাব উদ্দিন, উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার জন্ম তারিখ বয়ষ্ক ভাতার বইয়ে ২৫/১০/১৯৪৭ ইং। কিন্তু জাতীয়পরিচয়পত্রে তার জন্ম তারিখঃ ২৫/১০/১৯৬৭ ইং। সে মোতাবেক তার বয়স নির্ধারিত সীমার মধ্যে না হওয়ায় ডাটাবেইজ হয়নি। তিনি ২০১৬ ইং সাল থেকে নিয়মিত ভাবে বয়ষ্ক ভাতা উত্তোলন করে আসছিলেন। হঠাৎ করে ভাতা বন্ধ হওয়ায় পরিবারের ৫ সদস্যের সংসারে ব্যয় নির্বাহ করতে না পেরে চরম কষ্টে পড়েছেন। এধরনের ভাতা ভোগী আবদুল বারী, আশারাফ আলী, শাহাজাহান মিয়া ও খইমালাসহ অনেকের একই পরিনতি হয়েছে। এ ব্যপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ উপজেলায় ৪ হাজার ৮শ ৬৪ জন পুরুষ, ২ হাজার ৭শ ৫৯ জন বিধবা, ১ হাজার ৬শ ৭৭ জন প্রতিবন্ধি ও ৫৩ জন দলিত সম্প্রদায়ের ভাতা ভোগী রয়েছে। এ পর্যন্ত নির্ধারিত বয়স সীমার নিচে কত জন রয়েছে তার সমীক্ষা করা হচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করে অন্য ক্যাটাগরীতে প্রতিস্থাপন করা যায়কি না সে ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ এর সঙ্গে এ ব্যপারে কথা হলে তিনি জানান, যে সকল বয়ষ্ক ভাতা ভোগীর বয়স নির্ধারিত বয়স সীমার মধ্যে নেই তাদের অনলাইন ডাটাবেইজ হচ্ছে না। তাদের ভাতা প্রাপ্তির ব্যপারে সরকারী কোন সিন্ধান্ত আমাদের কাছে আসেনি।