মুক্তাগাছায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসাবে উপজেলা শহরের ঢলুয়াবিল এলাকায় সরকারি ড্রেনের উপর স্থাপিত মুক্তাগাছা ফিলিং স্টেশনের অবৈধ সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাসুদ রানা। পাড়াটঙ্গী মৌজায় বিআরএস ২৩৪৯ দাগের ১.৩১ শতাংশ জায়গায় সরকারি ড্রেনের উপর মুক্তাগাছা ফিলিংস্টেশন অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে। অবৈধ সীমানা প্রাচীর অপসারনের জন্য গত ২৮ অক্টোবর তারিখে এলাকাবাসীর পক্ষে সৈয়দ সাহেদ সারওয়ার উজ্জ্বল স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলা ভূমি অফিস বরাবর। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এবং স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় খবর প্রকাশ হলে প্রশাসনের নজরে আসে। সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ মাসুদ রানার নির্দেশে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার জহিরুল ইসলাম সরেজমিনে তদন্ত করেন। তদন্তকালে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, পৌর ভূমি অফিস, বাদী-বিবাদীসহ এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ২৩৪৯ দাগের ১.৩১ শতাংশ খাসজমি চিহ্নিত করে লাল নিশানযুক্ত খুঁটি বসানো হয়। পরে সহকারী কমিশনার ভূমি বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বিবাদী পক্ষকে সরকারি ড্রেনের উপর অবৈধভাবে নির্মিত সীমানা প্রাচীর অপসারনের জন্য পরবর্তী ২০ কার্যদিবস সময় বেঁধে দেন। নির্ধারিত সময়ে বিবাদী পক্ষ অবৈধভাবে নির্মিত সীমানা প্রাচীর অপসারন না করায় দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৩ ধারায় সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের দায়ে দেয়ালটি অপসারণ করে। অভিযানে সহযোগিতা করেন মুক্তাগাছা পৌরসভা। উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ জহিরুল ইসলাম, পৌরসভা উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম, স্থানীয় সাংবাদিকসহ এলাকার সাধারণ লোকজন উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় এলাকাবাসী অবৈধভাবে নির্মানকৃত দেয়ালটি অপসারনের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাসুদ রানা জানান, পাড়াটঙ্গী মৌজায় বিআরএস ২৩৪৯ দাগে ১.৩১ শতাংশ জায়গা সরকারি ড্রেন ও খাস জায়গায় মুুক্তাগাছা ফিলিং স্টেশন দখল করে অবৈধভাবে নির্মান করা সীমানা প্রাচীরটি অপসারনের জন্য পরবর্তী ২০ কার্যদিবস সময় বেধে দেওয়ার পরও মুক্তাগাছা ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ তা অপসারন না করায় দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৩ ধারায় সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের দায়ে দেয়ালটি ভেঙ্গে দেয়া হয়।