বিয়ের মাত্র ৩ সপ্তাহের মাথায় আত্মহননের পথ বেছে নিলো নববধূ! নববধূর নাম আইরিন ওরফে
সালমা। বুধবার ২৩ ডিসেম্বর সকালে শশুর বাড়ি নিজ শোবার ঘরে তীরের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে সালমা আত্মহত্যা করে।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, আইরিন ওরফে সালমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত একটি যুবকের সাথে। তাদের দুচোখে ছিল ঘর বাঁধার স্বপ্ন। কিন্তু নিয়তির কি নির্মম পরিহাস। বিদ্যুতের লাইনম্যান হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় একটি দুর্ঘটনায় প্রেমিক যুবকটির দুটি হাতই কেটে ফেলতে হয়। এ ঘটনায় তাদের প্রেমে বিচ্ছেদ ঘটে। অভিভাবকরা অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয় আইরিন ওরফে সালমার। আইরিন ওরফে সালমা পাবনার ঈশ^রদী উপজেলার মাইঝদিয়া ছোটপাড়া গ্রামের আবদুল আওয়ালের মেয়ে। নাটোরের লালপুর জোতদৈবকী গ্রামের (লালপুর কলেজ মোড়) আবদুর রহিমের ছেলে রুবেল আহমেদের সাথে তার বিয়ে হয়।
কিন্তু সালমা এ বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। বিয়ের মাত্র তিন সপ্তাহের মাথায় আত্মহননের পথ বেছে নেয় সে। ২৩ ডিসেম্বর সকালে পরিবারের সকলের অগোচরে আইরিন খাতুন তার নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তার পরিবারের সদস্যরা ও প্রতিবেশীরা এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে লালপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
লালপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মো: সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ নাটোর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।