দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মোঃ আবদুল খালেক সরকার (৫০)নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে একই ইউনিয়নের স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারী।
মোঃ আবদুল খালেক সরকার উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সৈদপুর কল্যাণী গ্রামের মৃত তছলিম উদ্দিনের ছেলে।
বীরগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আবদুল মতিন প্রধান জানান, অভিযোগকারী নারী বিদেশে থাকা অবস্থায় নিজপাড়া ইউনিয় পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল খালেক সরকারের সাথে মুঠো ফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরী হয়। পরে দেশে আসার পর থেকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মোঃ আবদুল খালেক সরকার তার সাথে শারিরিক ভাবে সম্পর্ক তৈরী করে। বর্তমানে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে ঐ নারী কৌশলে তাদের শারিরিক মিলনের কিছু চিত্র ভিডিও ধারণ করেন। এ বিষয়ে বুধবার তিনি নিজে বাদী হয়ে বীরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলা নম্বর-১৬। তারিখ-২৩/১২/২০২০।
এ ব্যাপারে নিজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল খালেক সরকারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পর পর দুই বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আসছি। তাই প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে একটি কু-চক্রী মহল আমাকে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এটি সেই ষড়যন্ত্রের অংশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাজমুল ইসলাম জানান, মামলা তদন্ত কাজ এবং আসামীকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীকে আইনের মুখোমুখী করা হবে।
এদিকে দুপুরে খালেক সরকারের বিচারের দাবীতে পৌর শহরের বিজয় চত্বর এলাকায় বীরগঞ্জবাসীর ব্যানারে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।