ময়মসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল মালেক সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। ময়মনসিংহের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিরঞ্জন দেবনাথ অভিযোগের অধিকাংশ বিষয়ে সত্যতা পেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত করেন। ফুলবাড়িয়া উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের আহব্বানে (২৪ডিসেম্বর) এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
উপজেলা পরিষদের তথ্য মতে, ফুলবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মালেকেরর বিরুদ্ধে পরিষদের ১৫ সদস্য অনিয়ম, দুর্নীতি, অসৎ আচরণ, মতা অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারি মনোভাব, স্বেচ্ছাচারিতা, অভিযোগ আনয়ন করে অনান্থা প্রস্তাব দাখিল করেন। অনাস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত করে কতক অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় উপজেলা পরিষদ আইন ২০০৯ (২০১১ সালে সংশোধিত) এর ১৩ (ক) (৫) মতে বৃহস্প্রতিবার এই সভা হয়।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিরঞ্জন দেবনাথ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল সিদ্দিক, সহকারী কমিশনা (ভুমি) দিলরুবা বেগম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোর্শেদুল হাসান খান, ফুলবাড়িয়া পৌর মেয়র গোলাম কিবরিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ সকল ইউপি চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতি সভায় উপস্থিত সদস্যদের মতামতের আহব্বান জানালে পৌরসভার মেয়র গোলাম কিবরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণের মতামত ব্যক্ত করেন। মেয়রের বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করে সভায় উপস্থিত অন্যান্য সদস্যগণ উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণের মত প্রদান করেন।
সভায় ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ সদস্য উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণের একমত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। গৃহিত অনাস্থা প্রস্তাবের আলোকে উপজেলা পরিষদ আইন ২০০৯ (২০১১ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণে তদন্ত কারী কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানানো হয়।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মালেক সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, অসদাচরণ, অসৎ আচরণ, মতা অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারি মনোভাব, স্বেচ্ছাচারিতা, অভিযোগ আনয়ন করে অনান্থা প্রস্তাব দাখিল করা হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিরঞ্জন দেবনাথ সরেজমিনে তদন্তে কতক অভিযোগের সত্যতা পেয়ে অনাস্থা প্রস্তাবের তদন্তসহ পক্ষে বিপক্ষে মতামত গ্রহণের জন্য ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্প্রতিবার এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সকল সদস্যগণ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে একমত পোষণ করায় উপর্যুক্ত সিদ্ধান্ত এবং অনাস্থা প্রস্তাব গৃহিত হয়। যা পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন।