কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গরু-ছাগলের খুরা রোগের প্রাদুর্ভাব ব্যাপক হারে দেখা দিয়েছে। এ রোগে গত এক মাসে প্রায় পাঁচ শতাধিক গরু-ছাগল আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২০টি গরু-ছাগল মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে কৃষকদের মাঝে চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার পাকুন্দিয়া সদর, জাংগালিয়া, চরফরাদী, এগারসিন্দুর, বুরুদিয়া, পাটুয়াভাঙ্গা, হোসেন্দী, নারান্দী, সুখিয়া ও চন্ডিপাশা ইউনিয়নে গরু-ছাগলের খুরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। কৃষকরা তাদের রোগাক্রান্ত গবাদিপশু উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নিয়ে গেলেও প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন ও ওষুধ পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত খুরা রোগে প্রায় পাঁচশতাধিক গরু ও ছাগল আক্রান্ত হয়েছে। খুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া গরুর মধ্যে চরপাকুন্দিয়া গ্রামের মজনু সরকারের একটি, রমজান মিয়ার একটি, এমদাদুল হক লিটনের একটি ও আবুল কালামের একটি গরু, পাইক লক্ষীয়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার একটি গরু, চরলক্ষীয়া গ্রামের এখলাছ উদ্দিনের একটি গরু মারা যায়। মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল্লাহর তিনটি ছাগল ও আবিরের একটি ছাগলসহ প্রায় ২০টি গরু-ছাগল মারা গেছে।
চরলক্ষীয়া গ্রামের এখলাছ উদ্দিন জানান, তার ১৫টি গরু খুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে একটি গরু মারা গেছে। গরু গুলো খুরা রোগে আক্রান্ত হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কোন ভ্যাকসিন ও ওষুধ তিনি পাননি বলে জানান।
মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ জানান, তার পাঁচটি ছাগল খুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ছাগল মারা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বয়স্ক গরু মারা যায়নি। তবে কয়েকটি বাছুর মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। এ পর্যন্ত কতটি গরু-ছাগল খুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং কতটি মারা গেছে এর সঠিক সংখ্যা বলা সম্ভব নয়। তিনি আরও জানান, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিনের স্বল্পতা রয়েছে।