শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের মধ্য কোন্নগর দুগাংগার পাড় এলাকায় কবরস্থানের জমি নিয়ে এলাকাবাসী কবরস্থান কমিটি ও স্থানীয় হাজী ফরহাদ আলী ও তার ছেলে দ্বয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। অবশেষে শেরপুর পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় উভয় পক্ষ কে নিয়ে আলোচনায় দীর্ঘ দিনের দ্বন্ডের নিরসন হয় এবং কবরস্থানের ১০ শতাংশ জমি উদ্ধার হয়।
এলাকাবাসী ও কবরস্থান কমিটির সূত্রে জানায়, ২০১৫ সালে নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের মধ্য কোন্নগর দুগাংগার পাড় এলাকায় মোঃ সেকান্দর আলীর নিকট হতে এলাকাবাসী প্রথমে সাড়ে সাতাশ শতাংশ জমি ক্রয় করে এবং একটি সামাজিক কবরস্থান স্থাপন করে। কবরস্থানটিতে এলাকার অনেক মৃত ব্যাক্তিদের দাফন সম্পাদিত হয়। হঠাৎ করে এলাকার হাজী ফরহাদ আলী তার ছেলে নাজমুল ও দেলোয়ার কবরস্থানের ১০ শতাংশ জমি জোড় পূর্বক বেদখল করে। পরে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধ কে কেন্দ্র করে ৫ বছরে ৯টি সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। অবশেষে এলাকাবাসী শেরপুর জেলার পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিমের নিকট সরনাপন্ন হয়। পরে ১৯ ডিসেম্বর ৩জন সার্ভেয়ার, সরকার, এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গদের নিয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশের এসআই আনসার আলী সরজমিনে উপস্থিত থেকে ভূমি পরিমাপ করে কবরস্থানের জমি উদ্ধার করে সীমানা খুটি নিধারন করে এবং উভয় পক্ষের সম্মতিতে এলাকাবাসীর নিকট কবরস্থানটির জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরে সকলের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের মাঝে দীর্ঘ দিনের বিরোধ নিরসন হয়।
এব্যাপারে মধ্য কোন্নগর দুগাংগার পাড় কবরস্থান কমিটির সভাপতি হাজী আঃ মজিদ ও সাধারন সম্পাদক মোঃ নওশেদ আলী বলেন, এই করস্থানের জমিটি অত্র ব্যাক্তি ১০ শতাংশ জমি জোড় পূর্বক বেদখল করতে চায়। দীর্ঘদিন বলার পরেও সে এই কবরস্থানের জমি না ছাড়ায় বাব বার সালিশ বিচারের দিকে আমরা ধাবিত হই। কিন্তু কোন সমাধান আসেনি। অবশেষে শেরপুর পুলিশ সুপারের সার্বিক সহায়তায় করবস্থানের ১০ শতাংশ ভূমি উদ্ধার হয়। এখন আমাদের মাঝে আর কোন দ্বন্ড নাই।