বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) সহকারী প্রকৌশলী (নির্মাণ) এর কার্যালয় দিনাজপুর জোন ২৭ সেপ্টেম্বর/২০২০ তারিখে ২৫২ নং স্মারকে বিরল উপজেলা সেচ কমিটিতে আবেদনকৃত স্কীমগুলি মাঠজরিপ সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিল করে। গভীর/অগভীর নলকূপের সেচ লাইসেন্স এর জন্য আবেদনের তালিকা ১৬৭+৯=১৭৬ টির মধ্যে ইউনিয়ন/মৌজা সেচ মালিক ও অপারেটরের কমান্ড এরিয়ার মধ্যে কিছু কিছু স্কীম হওয়ায় বিরল উপজেলা সেচ কমিটি বরাবরে ওই কমান্ডিং এরিয়ার মধ্যে নতুন সেচ লাইসেন্স এর অনুমোদন না দেয়ার জন্য ৩২ টি অভিযোগ দায়ের হয়। উপজেলা সেচ কমিটি বরাবরে দাখিলকৃত অভিযোগ এর পরীপ্রেক্ষিতে পূণঃতদন্ত হয় ৪ টি। এমনই একটি অভিযোগ গত ২০ ডিসেম্বর/২০২০ তারিখে উপজেলার ভান্ডারা ইউপি’র ৭১ নং জেএল ভূক্ত নাগরবাড়ী মৌজার মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র মোঃ শহিদুল ইসলাম দায়ের করেন ২২৯ নং খতিয়ানের ৩৫৫ ও ৪০৯ নং দাগে একই গ্রামের মৃত মফির উদ্দীনের পুত্র খাদেমুল হকের বিরুদ্ধে। অভিযোগের কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয় ডিটিডাব্লিউ থেকে দূরত্ব ১৫১৫ ফুট কিন্তু বিএডিসি’র পরিদর্শক (প্রকল্প) আবেদ আলী ও স্থানীয় কৃষক প্রতিনিধি এনামুল হক ও আবেদনকারী খাদেমুল হক একে অপরের যোগসাজসে পূর্বের কমান্ড এরিয়া শূন্য করার হীন মনমানসিকতায় লিপ্ত হয়েছে।
অভিযোগকারী বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তপক্ষ (বিএমডিএ) এর গভীর নলকূপ অপারেটর শহিদুল ইসলাম জানান, বিরল উপজেলা সেচ কমিটির গত ১০ ডিসেম্বর/২০২০ তারিখের সভায় আমার আবেদনসহ ৩২ টি অভিযোগের যাচাই-বাছাই করে শর্তপূরণ না হওয়ায় এবং কমান্ড এরিয়ার মধ্যে হওয়ায় মোট ৩২ টি স্থানে সেচ লাইসেন্স না দেয়ার জন্য অনুরোধ করে। উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য সচিব এবং বিএডিসি’র সহকারী প্রকৌশলী সমীর কুমার বিশ্বাস অনিয়ম ও দূর্নীতির সরজমিনে কোন তদন্ত না করেই ঐ ৩২ টির মধ্য হতেই কিছু লাইসেন্স অনুমোদন প্রদানের কুটকৌশল করে বলে অভিযোগ তুলেন শহিদুল ইসলাম।
স্থানীয় গোপালপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের পুত্র কামাল হোসেন জানান, গত ২৪ ডিসেম্বর/২০২০ তারিখ বৃহষ্পতিবার বিএডিসি’র পরিদর্শক আবেদ আলী ও শ্রী পূর্ণ চন্দ্র রায় এবং বিএমডিএ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী সোয়েব জাবেদ ইসলাম সরজমিনে পূণঃতদন্তে এসে উভয়পক্ষকে ডেকে প্রত্যক্ষদর্শীদের সম্মূখে ফিতা দিয়ে মাপযোগ শুরু করেন। অনুমোদিত স্কীম ক্রমিক নং ৯৫ এর নাগরবাড়ী মৌজার ৩৫৫ নং দাগ থেকে বিএমডিএ’র ৪৮৪ নং দাগের গভীর নলকূপের দায়িত্বপ্রাপ্ত অপারেটর শহিদুল ইসলামের গভীর নলকূপ সেচ এর দূরত্ব ১৫৪৬ ফুট।
পাকুড়া গ্রামের মৃত সামসুল হকের পুত্র রেজাউল ইসলাম জানান, অনুমোদিত স্কীম ক্রমিক নং ৪৯ এর পাকুড়া মৌজার ৬৯১ দাগের আবু বক্কর সিদ্দিকের পার্শ্ববর্তী ৭২৭ নং দাগের তোজাম্মেল হকের গভীর নলকূপের দূরত্ব ১০০০ ফুট।
মানিকপাড়া গ্রামের মৃত সমশের আলীর পুত্র আনিছুর রহমান জানান, অনুমোদিত স্কীম ক্রমিক নং ৪২ এর বিমান চন্দ্রের সেচ থেকে আবু বক্করের পাকুড়া মৌজার দাগের দূরত্ব মাত্র ৫০ ফুট এবং তোজাম্মেলের গভীর নলকূপ থেকে দূরত্ব মাত্র ৬৮০ ফুট। তদুপরী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অনুমোদন কার স্বার্থে এবং এসব সেচ এর অনুমোদন এর পেছনে কোন অজ্ঞাত খূঁটি জোড়ালো ভূমিকা রাখছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করে অভিযোগকারী। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য সচিব এবং বিএডিসি’র সহকারী প্রকৌশলী সমীর কুমার বিশ্বাস এর সাথে যোগাযোগ এর চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।