ঢেউয়ের তোড়ে আবার কুয়াকাটা সৈকতে বালুর নিচ থেকে বের হয়ে যাওয়া সাব মেরিন ল্যান্ডিং স্টেশনের অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল লাইন (আর্টিকুলেটেড পাইপ) বসানোর কাজ শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকালে ক্যাবল লাইনে বালু কেটে ফের নিরাপদ স্থানে বসানোর কাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড এর উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ তরিকুল ইসলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, সাগর থেকে উঠে আসা ক্যাবল লাইনের পাইপটির প্রায় ১০ ফুট দীর্ঘ ৬-৭টি স্পটে ২১ ইঞ্চি করে আর্টিকুলেটেড পাইপ বেলাভূমের উপরে উঠে যায়। সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে বালুর স্তর ধুয়ে নিচ থেকে ফাইবার ক্যাবল লাইন বের হয়ে গেছে। ওই পয়েন্টে আগেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ লাল পতাকা দিয়ে সতর্কীকরণ সঙ্কেত দিয়েছে। মঙ্গলবার বের হওয়া অংশের নিচে সিমেন্ট বালুর মিশ্রন ভর্তি এক স্তর জিও ব্যাগ দিয়ে তার উপরে আরও পাঁচ স্তর একই কায়দায় জিও ব্যাগ দিয়ে বের হওয়া আর্টিকুলেটেড পাইপ সীলড করে দেয়া হবে বলে তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন। ইতোপূর্বে আগস্ট মাসে কুয়াকাটা বীচে যাওয়া সড়কটির শেষ প্রান্ত থেকে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল লাইনের অংশ বের হয়ে যায়। তা ওই সময় মেরামত করে দেয়া হয়। এবারে আরও নিচের দিকে ক্যাবল বেরিয়ে যায়। জোয়ারের সময় বের হওয়া ক্যাবলটির অংশ বিশেষ পানিতে তলিয়ে থাকায় দেখা যায় না। কিন্তু ভাটার সময় ক্যাবলটি ঝুকির মধ্যে থাকছে। ওই স্পটে পর্যটক-দর্শনার্থী চলাচল করায় সতর্ক করতে লাল পতাকা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য সাগরের তলদেশ থেকে প্রায় ২৫ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যাবল লাইন কুয়াকাটা সৈকতের বালুর নিচ হয়ে সাড়ে ছয় কিলোমিটার দূরে কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের গোড়া আমখোলা পাড়ায় সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশনে এসে মুল সার্ভারে যুক্ত হয়েছে। উল্লেখ্য দেশে যে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হয়, তা প্রায় অর্ধেক দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে সরবরাহ হয়ে আসছে। বাংলাদেশে প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল ‘সি-মি-উই-৪’ এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে। ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। কলাপাড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সি-মি-উই-৫ সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হয়। এই স্টেশনের মাধ্যমে সাউথইস্ট এশিয়া মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ণ ইউরোপ আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন কেবল থেকে সেকেন্ডে দেড় হাজার জিবিপিএস গতির ইন্টারনেট সুবিধা পায় বাংলাদেশ।