জামালপুরে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার কামরুজ্জামান ও সহকারী প্রকৌশলী মো. ইয়াহিয়া খানের বিরোদ্ধে চরম অনিয়ম,দুর্নীতি ও অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানাগেছে,জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার কামরুজ্জামান তিনি যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ন ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। তিনি সহকারী প্রকৌশলী মো. ইয়াহিয়া খানের যোগস্বাজসে ইলেক্টিশিয়ান দিয়ে মিটার টেম্পারিং, গ্রাহকদের অবৈধ অতিরিক্ত বিল প্রদান, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন। তার এসব চরম অনিয়ম ও দুর্নীতি কারণে এলাকার গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার কামরুজ্জামান তিনি সেন্টাল জোন প্রকল্প, ময়মনসিংহ- টাঙ্গাইল থাকা কালে জামালপুর পৌরশহরের বরাদ্ধকৃত মালামাল দিয়ে পৌর শহরের বাইরে অবৈধ নতুন লাইন নির্মাণ করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিশেষ করে পৌর শহরের বাইরে সদর উপজেলার মহুয়া ডাঙ্গা থেকে শুরু করে হাজীপুর পর্যন্ত এবং মেলান্দহ উপজেলার গাজীপুর,শেখসাদী,রুহুলী,আনারবাড়ি ঘাট পর্যন্ত ১৩৮টি বৈদ্যতিক খুঁটি পুতে তার ও আনুষঙ্গিক মালামাল দিয়ে অবৈধ লাইন নির্মাণ করে ৬নং ফিডারে সংযুক্ত করেন। একই লাইনে মেলান্দহ উপজেলার ঘোষের পাড়া এলাকায় আরো ৫০/৬০টি খুঁটি পুতে রেখেছেন। এসব খুঁটি দীর্ঘদিন যাবত তার বিহীন পড়ে রয়েছে। বর্তমানে ওইসব খুঁটিতে বৈদ্যতিক তার টেনে সংযুক্ত দিতে নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার কামরুজ্জামান তিনি সহকারী প্রকৌশলী মো. ইয়াহিয়া খানকে দিয়ে এলাকাবাসীর কাছে মোটা অংকের উৎকোচ দাবী করে আসছেন। অন্যথায় সেখানে বিদ্যূৎ সংযোগ দিবেন না বলে ভুক্তভোগি এলাকাবাসিদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তার এসব অনিয়ম দুর্নীতির বিরোদ্ধে তৎকালিন জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম ইকবাল পরিচিতি নং ১-০১৩১৬ তিনি তার বিরোদ্ধে অবৈধ বৈদ্যতিক লাইন নির্মাণের অভিযোগ করে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেল বিউবো টাঙ্গাইলের কাছে একটি চিঠি ইস্যু করেছেলেন।
এছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছেঁড়া ফাটা তার,বাঁশের খুঁটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। এসব তার ছিঁড়ে ও খুঁটি ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। পাশাপাশি বাঁশের খুঁটির লাইনে কৃষকদের কৃষি সেচ পাম্পে লো-ভোল্টটেজের কারণে সেচপাম্প নষ্ট হয়ে গেলেও কৃষকদের নামে ২৫/৩০হাজার টাকা অবৈধ বিদ্যুৎ বিল ইস্যু করা হয়ে থাকে। ফলে কৃষকরা বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে গিয়ে ঋনের বুঝা মাথায় চাপে। তাই ওইসব এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে জেলার ৫টি আসনের সংসদ সদস্যগণ ডিও দিয়ে এপিপি করে বৈদ্যুতিক লাইন গুলো পুণঃ নির্মাণ করার নির্দ্দেশ দিয়েছেন। অথচ জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার কামরুজ্জামান তিনি এপিপির মালামাল সংগ্রহ না করে সহকারী প্রকৌশলী ইয়াহিয়া খানকে দিয়ে ওইসব এলাকাবাসীর কাছে মোটা অংকের উৎকোট দাবী করে আসছেন। টাকা না দিলে না’কি তাদের বৈদ্যুতিক লাইনের কাজ করা হবে না বলে জানিয়েছেন সহকারী প্রকৌশলী ইয়াহিয়া খান। এ-সংক্রান্ত বিষয়ে এলাকাবাসী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে পৃথক দুইটি অভিযোগ প্রেরণ করেছেন। চেয়ারম্যান দপ্তরের রিসিভ নং ২৩০২ এবং ২৩০৪ তারিখ ৬/১২/২০ইং।
এ বিষয়ে জামালপুর নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার কামরুজ্জামানের কাছে জানতে চেয়ে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা দিয়ে বারংবার ফোন দিলেও তিনি তা’ রিসিভ করেননি।