ভৈরবে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে এহসানুল হক নামে ১ কয়লা শ্রমিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরেক শ্রমিক ভাতিজা আজিজুল হক। নিহত ও আহতরা চাচা ভাতিজা। নিহত এহসানুল হক সুনামগঞ্জের বিশম্ভরপুর উপজেলার সিরাজপুর বাগগাও গ্রামের হিরো মিয়ার পুত্র । এ ছাড়া আহত আজিজুল হক একই গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের ভাতিজা আহত আজিজুল হক জানায় তারা ২ জন ভৈরব পুরাতন ফেরীঘাটে কয়লা শ্রমিকের কাজ করে ১/দেড় হাজার টাকা উপার্জন করেছে । তাদের উপার্জিত টাকা নিয়ে পরিবারের সংসার চলে। ওই টাকা নিয়ে তারা ২ জন গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য সোমবার রাতে ভৈরব সিলেট বাসষ্ট্যান্ডে যায়। সেখান থেকে দূর্জয় মোড়ে একটি ঔষধের দোকান থেকে ওষুধ কিনে আনতে যায় এহসানুল হক। এ সময় নুরানী মসজিদের সামনে ছিনতাইকারীরারা আজিজুলকে একা পেয়ে মারধোর করতে থাকে। আজিজুলের ডাক চিৎকারে নিহত এহসানুল এগিয়ে এলে ছিনতাইকারীরা এহসানুলকে বুকে ও পায়ে ছুরিকাঘাত করলে সে সড়কে লুটিয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের খালাতো ভাই মানিক রাজ ও বোন আকলিমা বেগম জানায়, নিহত এহসানুল গত ৩ মাস আগে বিয়ে করেছে। সংসারে ৩ ভাই-বোনের মাঝে সে সবার বড়। বাবা অসুস্থ এবং আরো ২ ভাই ছোট। তার আয় রোজগারে সংসার চলে। গত ১০/১২ দিন আগে সে ভৈরবে কয়লা শ্রমিকের কাজে যোগ দেয়। কাজ করে যে পারিশ্রমিক পেয়েছে সেটা নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্য ভৈরবেরে সিলেট বাসষ্ট্যান্ডে যায়। কিন্তু ছিনতাইকারীরা তাকে হত্যা করে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। তারা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ শাহিন জানান, কি কারণে এ হত্যাকান্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে।তবে এটি ছিনতাইয়ের ঘটনা নয় বলে তিনি ধারণা করছেন। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।