বিরলে ধানের বীজতলায় রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগে ক্ষতির অভিযোগ তুলে সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্যদের মানহানী ও অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বিরল পৌরশহরের হুসনা গ্রামের মৃত দাইমুদ্দিন চৌধূরীর পুত্র সাবেক ছাত্রনেতা আবদুর রহিম চৌধুরী সুজন জানান, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে রবিপুর মৌজায় একটি পুকুরে দীর্ঘদিন যাবৎ মাছ চাষ করে আসছি। এক সপ্তাহ পূর্বে পুকুরের পানি উত্তরাংশে পার্শ্ববর্তী ডাঃ আজিজুল ইসলামের পুকুর সংলগ্ন জমিতে উত্তোলন করি। আমাদের পুকুরের দক্ষিণাংশে সাবেক ইউপি সদস্য আলহাজ¦ মোঃ মহসিন আলী ও আফছার আলীর জমি রয়েছে। কিন্তু গত বৃহষ্পতিবার হাবিবুর রহমানের সাথে আমাদের বাকবিতন্ডার কথা উল্লেখ করে জনৈক মোমিনুল ইসলাম, আফসার আলী, হাবিবুর রহমান, হাছেন আলী ও খয়বর আলীর প্রায় ৫ মন ধানের বীজতলা জ¦ালিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা অভিযোগ তোলা হয় এবং ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে অপপ্রচার করা হয়। গত সোমবার দেখতে পায় মোমিনুলের ৪০ কেজি, হাবিবুরের ৪০ কেজি, আফসার আলীর ৪২ কেজি, খয়বর আলীর ২০ কেজি ও হাছেন আলীর ২০ কেজি ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে এবং এর মধ্যে আফসার আলীর আংশিকসহ অন্যান্য কৃষকদের পর্যায়ক্রমে সম্পূর্ণ প্রায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করা হয়, যা আদৌ সত্য নয়। আমরা পানি সেচ দিয়েছি পুকুরের উত্তরাংশে আর অভিযোগ তোলা হচ্ছে পুকুরের দক্ষিণাংশের জমির বীজতলা নিয়ে! এ ব্যাপারে কোথাও আমাদের কোন বক্তব্য গ্রহণ করা হয়নি, অথচ আমার দুই ভাই সুমন চৌধুরী ও স্বপন চৌধুরীর নাম উল্লেখ করা হয়। তাই আমরা মনে করি আমাদের পারিবারিক সুনাম ক্ষুন্নের হীন মনমানসিকতায় ধানের বীজতলায় রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগে ক্ষতির অভিযোগ তুলে সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্যদের মানহানী ও অপপ্রচারের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে সতর্ক করে অপপ্রচার হতে বিরত থাকার এবং সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের ও সম্মানিত সাংবাদিকদের প্রকৃত সত্য যাচাই-বাছাইপূর্বক সংবাদ পরিবেশনের উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এফ এম এ হানিফ জানান, দূর্বৃত্ত কর্তৃক রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগে প্রায় ২০ কেজি ধানের বীজতলা নষ্ট হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার টাকা। কৃষি বিভাগ থেকে সার্ফার এবং জিংক স্প্রে করার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। শংকার কোন কারণ নেই, রিকভারীর মাধ্যমে এ বীজতলা থেকে টার্গেট অনুযায়ী জমিতে ধান চাষাবাদ সম্ভব।