অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত করোনার টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। জনগণের জীবন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই টিকাটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডোজ অর্ডার করেছে, যা ৫০ মিলিয়ন লোককে দেওয়া সম্ভব হবে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনটি নিয়ে ২০২০ সালের প্রথম দিকে কাজ শুরু করে। এপ্রিল মাসে প্রথম একজন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়। এই অনুমোদনের অর্থ হলো ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ও কার্যকর।
ডিসেম্বর মাসে ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনের পর যুক্তরাজ্যে এটি দ্বিতীয় অনুমোদিত ভ্যাকসিন।
গুরুতর পরিস্থিতিতে এটি স্ট্যান্ডার্ড ফ্রিজারে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। যেখানে ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিনটি মাইনাস ৭০ সেন্ট্রিগেড তাপমাত্রায় কোল্ড স্টোরেজ রাখা প্রয়োজন। সেখানে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনগুলো বাড়িতে ও হাসপাতালে সংরক্ষণ করা অধিক সহজ।
এদিকে ফাইজার, মডার্না ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা- তিনটি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ২০২১ সাল নাগাদ ৫৩০ কোটি টিকা বিতরণের পূর্বাভাস দিয়েছে। অধিক চাহিদার দরুণ ২০২৩ বা ২০২৪ সাল পর্যন্ত স্বল্প আয়ের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে টিকা সহজলভ্য হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।