বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কুমিড়া পন্ডিতপুকুর উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দোকান পজিসান বিক্রি, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রকার ফি সহ লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎসহ নানা দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে গত বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন অভিভাবক সদস্য বাদেশ আলী।
অভিযোগে জানা গেছে, কুমিড়া পন্ডিতপুকুর উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি মজনুর রহমান ও প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম অনিয়ম করে বিদ্যালয়ের দোকান ঘর পজিসান বিক্রি করেছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রকার ফি সহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন তহবিলের লাখ লাখ টাকা দূর্নীতি করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিটি গঠন না করে প্রধান শিক্ষকের ইচ্ছেমতো গোপনে এডহক কমিটি গঠন করেছে।
এ দিকে এ্যাডহক কমিটির অভিভাবক সদস্য মোস্তাফিজার রহমান সদস্য পদ থেকে ও শিফানুর আকতার শিক্ষক প্রতিনিধি পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি দিয়েছেন। এই দুজনই অব্যাহতি চেয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে আবেদন দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কুমিড়া পন্ডিতপুকুর উচ্চবিদ্যালয়ের বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি মজনুর রহমান বলেন, এই অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা প্রদানের পর থেকে স্থানীয় কিছু অসাধুচক্র তার বিরুদ্ধে এমন বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া অভিভাবক সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধির অব্যাহতির কোন আবেদন পাননি বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শারমিন আখতার বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।