গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের গ্রুপিং প্রকাশ্য রুপ নিয়েছে। দিন যত যাচ্ছে গ্রুপিং এর স্বরুপ ততই প্রকাশ্যে চলে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার এক গ্রুপের নেতৃবৃন্দ গণতন্ত্রের বিজয দিবস পালন করেছেন। গ্রুপিং এর কারণে এ অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসসহ সিনিয়র অনেক নেতাই উপস্থিত ছিলেন না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এই গণতন্ত্রের বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকার কারণে সাবেক সহ-সভাপতি নাদের আলী মিয়া সভাপতিত্ব করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, পৌর মেয়র হাজী মো: কামাল হোসেন শেখ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা, আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুজ্জামান খান বাদল, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তালুকদার, কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার মধু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটন, সাধারণ সম্পাদক আলীউজ্জামান জামির বক্তব্য রাখেন।
পৌর মেয়র হাজী মো: কামাল হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, এই দিবসটি আওয়ামী লীগের কাছে একটি বিশেষ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। কিন্তু দুঃখ লাগে বিশেষ দিনে যাদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল তারা আজ উপস্থিত নেই। শুধু মুখে আওয়ামী লীগের বুলি উড়ালে চলবে না। তাই আমি অনুরোধ করবো আওয়ামী লীগ যদি করেন তাহলে তার নীতি ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ তার বক্তব্যে বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেই। যদি তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতো তাহলে মঞ্চের শোভা বৃদ্ধি পেত।
আওয়ামী লীগের গ্রুপিং এর ব্যাপারে উপজেলা আওয়মী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থতার কারণে ঢাকায় আছি। তাই আজকের গণতন্ত্রের বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারিনি। এ ছাড়া কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগে কোন গ্রুপিং নেই।