পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর সঙ্গে লড়তে গিয়ে সর্বনিম্ন ভোট পেয়ে জামানত হারালেন ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী। শুধু তাই নয়,প্রতিদ্বন্দ্বি চার প্রার্থীর মধ্যে পেছন থেকে প্রথম হয়েছেন তিনি। ঘটনাটি পাবনার চাটমোহরের। ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী হলেন চাটমোহর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আরশেদ। তার সঙ্গে জামানত ফেরত পাবেন না অপর দুই প্রার্থীও। ভোট শুরুর ঘণ্টাখানেক পরেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন এই দুই প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনের শর্ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যকের চেয়ে কম ভোট পাওয়ায় জামানত ফেরত পাবেন না তারা। সোমবার ভোট হয় এ পৌরসভা নির্বাচনের।
জামানত হারানো অপর দুই প্রার্থী হলেন-আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলাল (জগ) এবং সাবেক বিএনপি নেতা, সাবেক মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আবদুল মান্নান (মোবাইল ফোন)। নির্বাচন কমিশনের শর্ত অনুযায়ী জামানত ফেরত পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে পেতে হবে নির্বাচনে প্রাপ্ত মোট ভোটের আটভাগের এক ভাগ ভোট। এ শর্তের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন। আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থী নাম এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন সাখো। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আছেন।
নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, এ্যাড.সাখাওয়াত হোসেন সাখো (নৌকা) পেয়েছেন ৬ হাজার ৮১২ ভোট। প্রফেসর আবদুল মান্নান (মোবাইল ফোন) ৮৪২ ভোট, মির্জা রেজাউল করিম দুলাল (জগ) ১৬১ ভোট এবং আসাদুজ্জামান আরশেদ (ধানের শীষ) পেয়েছেন ৪৫ ভোট। ৪টি বাতিলসহ প্রাপ্ত মোট ভোটের সংখ্যা ৭ হাজার ৯০৪টি। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন। কেন্দ্র দখল ও জোরপূর্বক ভোট নেওয়ার অভিযোগে ভোট ও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন জামানত হারানো অপর দুই প্রার্থী।