আমরা সবাই জানি মা-বাবা সন্তানের জন্য জমি লিখে দেয়। এই গতানুগতিক ধারাকে পাল্টে দিয়ে ছেলে এবার মাকে জমি লিখে দিয়ে ব্যাতিক্রম ঘটনা ঘটিয়েছেন শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে উপজেলার ভুট্ট্রা রফিক নামের এক ব্যাক্তি।
পিতার রেখে যাওয়া সম্পদ বলতে থাকার জায়গা ছাড়া কিছুই ছিল না। কর্মজীবনে তিলে তিলে গড়ে তুলা কিছু সম্পদ এর অংশ হতে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় মায়ের জীবনের শেষ সময়ে মাকে আজ ৩০ ডিসেম্বর বুধবার শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়ে গিয়ে ৫ শতাংশ জমি লিখে দিলেন ভুট্টা রফিক নামে খ্যাত রফিকুল ইসলাম ওরফে ভুট্টা রফিক। এখানেই শেষ নয় তার আরও ৩ ভাই ১ বোন ও উপজেলার শিমুলতলা কমিউিনিটি হাসপাতালের নামেও ১কাঠা জমি লিখে দিয়েছেন। নজির বিহীন এমন কাজে অনেকেই তার জন্য প্রান ভরে দোয়া করেছেন।
জানা গেছে, র্দীঘ ১৫ বছরের অধিক কাল ধরে এই ভুট্টা রফিক ভুট্ট্রা চাষ করে সারাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় দিনে দিনে এই ভুট্ট্রা রফিকের ব্যবসার প্রসারতা বাড়ে। তিনি নালিতাবাড়ী শহরের গড়কান্দা মোড়ে ১টি অত্যাধুনিক ভুট্ট্রার রকমারী খাবার তৈরির হোটেল গড়ে তোলেন। সেই হোটেল এখন তার ভাই ও ছেলে পরিচালনা করে আসছে। এদিকে এই ভুট্ট্রা রফিক কৃষি বিভাগসহ সারা দেশে তার এই ভুট্ট্রার প্রসারতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরলস ভাবে ছুটে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তিনি ্একাধারে নিজ বাড়ীতেই ভুট্ট্রার কর্ন, গুড়া, চানাচুর, জিলেপী, বুরিন্দা, নিমকি, সিংগারা, রুটি, জুস, চাল ভাজা, ভুট্ট্রা ভাজা, খোড়মাসহ আরও নানা খাবারের রসদ যোগাড় তিনি করে রেখেছেন। এগুলির অর্ডার আসছে এবং বিক্রি করে যাচ্ছেন। তার লোকজন বাজারে বাজারজাত করে প্রসারতা বাড়িয়ে যাচ্ছেন। এই কঠোর পরিশ্রমে ভুট্ট্রা রফিক ব্যাবসার আয় হতে শিমুলতলা এলাকায় বেশ কিছু জমিক্রয় করেছেন। এদিকে তার নিজ ৩ভাই তেমন কোন কর্ম না থাকায় ভাই রফিকের এখানেই থাকেন। তাদের বাড়ী ঘর না থাকায় ছোট ভাই রহুল আমিন কে ১৫ শতাংশ, রফিক মিয়া কে ১৫ শতাংশ, রুপচানকে আড়াই শতাংশ, বোন ফেলানীকে ৫শতাংশ সর্বশেষ মা রাহেমা খাতুন (৭৫) কে ৫শতাংশ জমি লিখে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রফিকুর ইসলাম ভুট্ট্রা রফিক বলেন, আমি একজন সাধারন মানুষ। আমার মা আমাকে এই পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন। তারা না হলে আমি পৃথিবীতে আসতেই পারতাম না। তাদের দোয়া ও বরকতেই আমি আজ ভুট্ট্রা রফিক। সারা দেশে আমার নাম হয়েছে। আমি কারও চাওয়াই অপূর্ন রাখতে চাই না। আমার বলতে কিছুই আমি আর কিছুই রাখতে চাই না। আমি তো আর পৃথিবীতে বেশি দিন থাকবো না। কি হবে এসব দিয়ে তাই সবই দিয়ে গেলাম। শুধু এই জমিই না আমি আমার মায়ের জন্য সুন্দর ভাবে থাকার জন্য বসবাসের জন্য একটি ঘর তৈরি করবো।