রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের তদন্ত শুরু করেছে তদন্তকারী দল। চলতি মাসের ১০ ডিসেম্বর স্থানীয় ও জাতীয় একাধিক পত্রিকায় উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসৃজনের কাজ না করে ব্যাংক থেকে শ্রমিকের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ও বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রকাশিত সংবাদ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, খন্দকার মাতামাম মাহমুদা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আল আমিন হোসেন ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে তদন্তের দায়ীত্ব দেয়া হয়। বুধবার তদন্তকারী দল তদন্ত কাজ শুরু করেন। তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী দলের সদস্যরা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে চাননি।
সরকার দেশের অসহায় হতদরিদ্রদের কর্মস্থান সৃষ্টির লক্ষে কর্মসৃজন কর্মসূচির কার্যক্রম শুরু করেন ইউনিয়ন গুলোতে। সরকারী নীতিমালানুসারে উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নে ১৫৭ জন শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার হাতে গনা কয়েকজন শ্রমি দিয়ে কাজ করান এবং বাকী শ্রমিকদের টাকা গুলো তিনি ব্যাংক থেকে তুলে নিজেই আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও প্রকল্পে যাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে সে সকল শ্রমিক জানেন না তাদের নাম কর্মসৃজন কর্মসূচির তালিকায় রয়েছে। অথচ ওদের নামের টাকা গুলো তুলে চেয়ারম্যান নিজেই ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন।
প্রকল্পের কাজ সহজতর করতে গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের শ্রমিক গুলোকে ৬ টি ভাগে বিভক্ত করা হয়। প্রতিটি ইউনিটে ২৫ জন করে শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও সেখানে ৭/৮ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করতে দেখা যায়।
এছাড়াও স্বজনপ্রীতিন মাধ্যমেও তার নিজস্ব লোকের নাম দিয়ে টাকা গুলো উত্তোলন করতেন। তালিকায় নাম থাকা শ্রমিকের কোন ঠিকানা পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছিণ। ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে কাবিটা প্রকল্পের টাকাও আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
যোগাযোগ করা হলে তদন্তকারী দলের কর্মকর্তা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আল আমিন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খন্দকার মাতামাম মাহমুদা বলেন, প্রকৃত বিষয় উদঘাটন করতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি তারা।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন, ঘটনাটি তদন্তের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।