পটুয়াখালীর গলাচিপায় গোলখালী মৌজায় অবৈধভাবে দখল হওয়া প্রায় দুই কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার ও এর আগে দুই দফায় মোট ৫০টি স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ১ একর ৭৬ শতাংশ সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হয়। খাসজমি উদ্ধার অভিযানে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, গলাচিপা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), র্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে।
গলাচিপা ভূমি অফিস সূত্রে জানাগেছে, পটুয়াখালীর গলাচিপা ও বরগুনার আমতলী উপজেলার গাজিপুর বাজার সংগ্ন প্রায় ১একর ৭৬ শতাংশ জমি দীর্ঘ চার দশক ধরে অবৈধবাবে দখল করে মার্কেট ও বাড়ি নির্মাণ করে দখল করে রেখেছিল অবৈধ দখলদাররা। অবৈধভাবে দখলদার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযানের জন্য গত ফেব্রুয়ারি মাসে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন গলাচিপা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। এর দুই মাস পর উচ্ছেদের অনুমোদন হলে দখলদারদের তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে সময় দেওয়া হয়। কিন্তু দখলদাররা তাদের স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় বৃস্পতিবার ২৯টি ঘর ও দোকান উচ্ছেদ করে। এর আগেও ২১টি দোকান ও বসত ঘর উচ্ছেদ করা হয়। এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন পটুয়াখালী জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায়, রোরান্ট চাকমা ও গলাচিপা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব-৮ ও পুলিশ সদস্যরা।
গলাচিপা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, খাসজমি উদ্ধার একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রায় চার দশক ধরে সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এক শ্রেণির দখলদাররা সরকারি এ খাস জমি দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা করে দখলে রেখেছিল। উচ্ছেদের পর পুরো এলাকায় লাল নিশান ও সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।