বরগুনায় উদ্বোধন করা হয়েছে দেশের প্রথম নৌকা জাদুঘর। মুজিববর্ষ উপলক্ষে নির্মিত এ জাদুঘরের নাম রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর। দেশ বিদেশের বাহারি নকশার এক’শটি নৌকার অনুকৃতি নিয়ে শুরু হল উপকূলীয় জেলা বরগুনার ঐতিহ্যবাহী এ বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উপকূলীয় জেলা বরগুনার ঐতিহ্যবাহী এ জাদুঘরের শুভ উদ্বোধন করেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।
এসময় আরও উদ্ভোদন করা হয় বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘরে প্রবেশের টিকেট। টিকেটের দাম দেওয়া হয়েছে জনসাধারণের জন্য বিশ টাকা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য দশ টাকা।
বরগুনা জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন ৭৮ শতাংশ জমি জুড়ে স্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর। বিশাল নৌকার আদলে তৈরী এ জাদুঘরটির দৈর্ঘ্য ১৬৫ ফিট এবং প্রস্থ ৩০ ফিট। স্বয়ংসম্পূর্ণ এ জাদুঘরে থাকবে নৌকা গবেষণা কেন্দ্র, আধুনিক পাঠাগার, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার, শিশু বিনোদন কেন্দ্র এবং ফুট কোটসহ নানা আয়োজন।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিলাহর পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টায় বৈশ্বিক মহামারিসহ নানা প্রতিকূলতার মাঝেও মাত্র ৮১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয় বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর নির্মাণের কাজ। বৃহস্পিতবার বিকালে এ জাদুঘরের শুভ উদ্বোধন করেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
বহু বছর ধরে নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রধান বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে নৌকা। মহান মুক্তিযদ্ধের সময়েও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দু:সাহসিক সব অভিযানে নৌকা ব্যবহার করেছেন অকুতভয় মুক্তিসেনারা। বাংলাদেশের ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে নৌকা। বরগুনা এই ঐতিহ্যবাহী বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘরের মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় বাহারি আকৃতির নৌকার দেখা পাবে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম এমনটাই ভাবছেন স্থানীয় সচেতন মহল।