দেখতে দেখতে আমরা অতিক্রম করেছি কষ্টের প্রায় ১ বছর। ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তৈরি হয়েছে বিভিন্ন সংকট। করোনা মহামারিতে সারাবিশে^র অধিকাংশ দেশই যখন নিবেদিত থেকেছে ছাত্র-যুব-জনতার জন্য, তখন নির্মমতার অন্ধকারে ঢেকে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে। কখনো বাড়ি ভাড়া সমস্যায় জর্জরিত হয়েছে সাধারণ মানুষ; কখনো দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির স্টিম রোলারে পিষ্ট তারা; আবার কখনো কখনো চাকুরি হারিয়ে-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের অন্ধকারে হারিয়ে গেছে লক্ষ লক্ষ স্বপ্ন। সেই স্বপ্নহারা-দিশেহারা বাংলাদেশে সাধারণ মানুষকে করোনা পরিস্থিতিতে প্রণোদনার স্বপ্নও দেখানো হয়েছিলো। সব স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়েছে ৬৬ হাজার জনপ্রতিনিধির অধিকাংশের দুর্নীতির কারণে। বিবিসি জরিপের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি খ্যাত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছার কোন অভাব আছে বলে মনে হয় না; করোনা পরিস্থিতিতে দেয়া তাঁর সামগ্রিক বক্তব্যে বারবার। এত দারুণ করে তিনি কথা বলেন, সেই কথার ঠিক বিপরিতে চলেন তাঁর মন্ত্রী পরিষদের অধিকাংশ সদস্যই, সংসদ সদস্যদের ৮৫ ভাগ গড়ে তুলেছেন নির্মমতার অন্ধকার-দুর্নীতির রামরাজত্ব। তার উপর আছে ভাগ্নেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সংসদ সদস্য বানানো মামা কে এম নুরুল হুদার নির্বাচন কমিশনের একের পর এক ভোটার শূণ্য নির্বাচন।
স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর এসে স্বপ্নগুলোকে কারা যেন নির্মমতায় ঢেকে দিচ্ছে বারবার; তারা কারা? উত্তর একটাই যারা স্বাধীনতার চেতনা ব্যবসা করে; যারা ধর্মকে বিক্রি করে একের পর এক ইমারত গড়ে। দুটি পক্ষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সাধারণ মানুষের বাড়ছে কষ্ট-যন্ত্রণা। এই সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে তৈরি হয়েছিলেন আমাদের দেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ। যাদের কাছে দেশ বড়; ব্যক্তি স্বার্থ নয়। সেই ধারাবাহিকতায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) এর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ সংশ্লিষ্ট অসদাচরণের অভিযোগ তদন্তে রাষ্ট্রপতিকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল (এসজেসি) গঠনের আবেদন জানিয়েছেন দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের অধীনে এসজেসি গঠনের জন্য গত ১৪ ডিসেম্বর সম্মিলিতভাবে তারা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে দেওয়া একটি চিঠিতে এই আবেদন জানান। এতে বলা হয়, সংবিধানের ৯৬ (৩) অনুচ্ছেদে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের বিধান রয়েছে। আবেদনকারীরা জানান, ১১৮ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিধান রয়েছে। তবে ১১৮ (৫) অনুচ্ছেদে “সুপ্রিম কোর্টের বিচারক যেরূপ পদ্ধতি ও কারণে অপসারিত হইতে পারেন, সেইরূপ পদ্ধতি ও কারণ ব্যতীত কোন নির্বাচন কমিশনার অপসারিত হইবেন না।”
নির্লজ্জ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসির বিরুদ্ধে ৪২ নাগরিকের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। বৃহস্পতিবার বিকেলে কমিশন ভবনে এ কথা জানান তিনি। এর আগে, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থসংশ্লিষ্ট গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তুলে এর তদন্ত করতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছেন ৪২ নাগরিক। গত ১৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে এই চিঠি পাঠানো হয় বলে জানানো হয়েছে। ৪২ জন নাগরিকের পক্ষে রাষ্ট্রপতির কাছে ওই চিঠি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ড. আকবর আলি খান, অবসরপ্রাপ্ত মহা হিসাব-নিরীক্ষক এম হাফিজউদ্দিন খান, মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার বক্তব্যও নির্লজ্জতার প্রমাণ দিয়েছে বারবার। তিনি ভুলে গেছেন বাংলাদেশকে বাঁচানোর কথা না ভেবে, মানুষের কথা না ভেবে যারাই অন্যায়কে পৃষ্টপোষকতা দিয়েছে, তারাই হারিয়েছে অন্ধকারের গহ্বরে। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি শতাধিক ব্যক্তির কথা। তিনি হয়তো সরকারি আমলা হিসেবে বরাবরই কোটি কোটি টাকার স্বপ্নে বিভোর থাকায় ইতিহাস জানার ও বোঝার সময় পাননি; তাই ৪২ বরেণ্য ব্যক্তিকে অপমান করে একের পর এক মিথ্যাচার করেছেন। শুধু এখানেই শেষ নয়; অবিরাম বলেছেন নিজেদের সফলতার কথা; তাদের সফলতা তো দূরের কথা সামাণ্যতম উত্তরণের ছিটেফোটাও নেই। তবু তাদের নির্লজ্জ উচ্চারণ- ‘১. নির্বাচনি প্রশিক্ষণের জন্য বক্তৃতা না দিয়ে বিশেষ বক্তা হিসেবে সম্মানী গ্রহণের অভিযোগের বিষয়ে কমিশন বলেছে- সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করণ, নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব পালন, মনোনয়নপত্র বিতরণ, গ্রহণ ও বাছাই, আইনানুগভাবে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দ্বারা ভোট গ্রহণ এবং ফলাফল ঘোষণা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন পূর্বের এক যুগের অভিজ্ঞতার আলোকে সব স্তরের প্রায় ৬-৭ লাখ জনবলের দক্ষতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৫ জন বিশেষ বক্তা, কোর্স উপদেষ্টা ও অন্যান্য প্রশিক্ষকসহ নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মপরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়ন করে, যা কমিশন অনুমোদন করে।’
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৮৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রশাসনিক ব্যয় সংযুক্ত তহবিলের ওপর দায়যুক্ত এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯ এর ৭(১) ও ১৬ ধারা অনুযায়ী এই খাতে অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত বরাদ্দ ব্যয়ের জন্য নির্বাচন কমিশনই চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ। নির্বাচন কমিশন আইন, ২০০৯ এর ৭(২) ধারা অনুযায়ী সব ব্যয় অডিট যোগ্য। অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি না হলে ব্যয়কৃত অর্থ কোষাগারে ফেরত যাবে। সমস্ত প্রক্রিয়া দালিলিক প্রমাণ ভিত্তিক, এ ক্ষেত্রে আর্থিক অনিয়ম বেড়েই চলছে।
অন্যায়-অপরাধ-দুর্নীতির নির্বাচনের আবার প্রশংসাও নাকি করেছে কারা! ছি! এতটা নির্লজ্জ যে, জাতিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে দিতে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভুল বোঝাতে বোঝাতে ভোটার বিহীন নির্বাচনে উৎসাহিত করেছে। বিনিময়ে আমরা পেয়েছি অবিরত অন্ধকার। সেই অন্ধকার থেকে বেরুবার ৪২ বরেণ্য ব্যক্তির চেষ্টাকে অপমান করে পেপার ট্রেইল ছাড়াই ইভিএমের বিষয়ে কমিশন বলছে, ইভিএমে ভোটার যাচাইযোগ্য কাগজ নিরীক্ষার ট্রেইল (ভিভিপিএটি) ব্যবহারের যান্ত্রিক সমস্যার কারণে পুরো ইভিএম সিস্টেম বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বিধায় ভিভিপিএটির আধুনিক সংস্করণ ভোটার যাচাইযোগ্য ডিজিটাল অডিট ট্রেইল (ভিভিডিএটি) সংযুক্ত রয়েছে। ভিভিডিএটির ফলে ভোটার ভোট প্রদানের পরে তার নির্বাচিত প্রতীক দেখে নিশ্চিত হতে পারেন এবং প্রতিটি ভোটারের ভোট প্রদানের (ডিজিটাল ব্যালট) তথ্য ইলেকট্রনিক্যালি সংরক্ষিত থাকে, যা পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক পুনঃগণনা করা যায়। নির্বাচন কমিশন ইভিএম আমদানি করেনি। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে একনেক কর্তৃক ইভিএম প্রকল্প অনুমোদনের পর পিপিআর ২০০৮ এর ‘অর্পিত ক্রয়কার্য’ বিধান পদ্ধতি অবলম্বন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তা ক্রয় করা হয়। ‘অর্পিত ক্রয়কার্য’-এর শর্তানুসারে ইভিএম সরবরাহ করা হয়। ইভিএম ক্রয়ের কোনো তহবিল কমিশনের কাছে ন্যস্ত হয় না। এর বিল সরকারিভাবে সরাসরি সেনাকর্তৃপক্ষকে পরিশোধ করা হয়। এ কাজে নির্বাচন কমিশন কোনো আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে না। এখানে দুর্নীতির কোনো প্রশ্ন ওঠে না। আমাদের ইভিএমের কনফিগারেশন/স্পেসিফিকেশন ভারতের ইভিএমের তুলনায় আধুনিক। ভারতে ব্যবহৃত ইভিএম স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটারের ফিঙ্গার প্রিন্ট কিংবা স্মার্টকার্ড কিংবা ভোটার নম্বর ব্যবহার করে ভোটারের বৈধতা যাচাই করতে পারে না। তাছাড়া, ভারতের ইভিএম কেন্দ্রের ভোটার তালিকার (বায়োমেট্রিকসহ) ডাটাবেজ সংরক্ষণ করতে পারে না। বাংলাদেশের ইভিএমে ওই ফিচারগুলো সংযুক্ত করার নিমিত্ত মেশিনের সঙ্গে উন্নতমানের ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার, কার্ড রিডার, পোলিং এজেন্টদের সুবিধার্থে ভোটারের ছবিসহ তথ্য এবং ভোটারের প্রদর্শনযোগ্য তথ্য প্রদর্শনের জন্য ডিসপ্লে ইউনিট ইত্যাদি সংযুক্ত। কারিগরি বিনির্দেশ তুলনা করলে দেখা যাবে দুটি সম্পূর্ণ পৃথক সক্ষমতার ইভিএম। সুতরাং দুটি ইভিএমের দর/মূল্য তুলনাযোগ্য নয়।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন নিকৃষ্ট চেষ্টা চলতে থাকলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশটা বিশে^র বুকে আবারো স্বৈরাচারি দেশ হিসেবে কুখ্যাতি পাবে; যা আমাদের প্রত্যাশা নয়; আমাদের প্রত্যাশা সুন্দর-স্বচ্ছ ভোটারের অংশগ্রহণ ভিত্তিক নির্বাচনীয় গণতান্ত্রিক সরকার ও সুনির্মল দেশ। সেখানে কোন নির্লজ্জ জ¦লন্ত সত্যকে অন্ধকারে ঢেকে দিতে সকল অপরাধকে অস্বিকার করে বলবে না- ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকগণ ২০১৮ সালে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। নির্বাচন নিয়ে তারা অভিযোগ তোলেননি। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ দল সংবাদ সম্মলেনে উল্লেখ করেছেন। ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রচারেও কোনো গুরুতর অনিয়ম ও অসদাচরণের কোনো বিষয় প্রচার করা হয়নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে অনেকগুলো ভোটকেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করা হয় এবং পুনঃনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালে কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বাতিল করে সেখানে পুনঃনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২০ সালে ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বাতিল করা হয়। অভিযোগ সঠিক হলে যে কোনো পর্যায়ের নির্বাচন বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের প্রচুর উদাহরণ রয়েছে। নির্বাচন কমিশন ভোটে অনিয়ম সংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগ আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।’
যেখানে ভোটারের অংশগ্রহণ ৯ থেকে ১১ ভাগ; সেখানে নির্বাচন কমিশনের প্রধান নুরুল হুদার দাবি- ‘তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে সংসদ এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি পদে ২-৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোট পড়ে ৬০-৮০ শতাংশ। নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা চলে গেছে এমন মন্তব্য ভিত্তিহীন।’ তবু ভোদরের মত অবিরত এই ব্যক্তিটিকে কেন নির্বাচন কমিশনের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান করে রাখা হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তর স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী জানেন; জানেন তারাও যারা রাজনীতির এপিঠ ওপিঠ জানেন। আর জানেন বলেই আমরা দাবি, বাংলাদেশের রাজনীতি-রাজপথে থাকা কর্মী হিসেবে দাবি- সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করে তদন্ত হওয়া উচিত। গুরুতর অসদাচরণের দায়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা সহ প্রায় সকলেই দোষী হবেন। সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তাদের পদ থেকে অপসারণ করবেন।’
বরেণ্য শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি-আইন ও নীতিজন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত সচিব আকবর আলি খান, অবসরপ্রাপ্ত মহা হিসাব-নিরীক্ষক এম হাফিজউদ্দিন খান, মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী, হামিদা হোসেন, আলী ইমাম মজুমদার, ড. মইনুল ইসলাম, মানবাধিকারকর্মী খুশি কবির, পারভীন হাসান, বদিউল আলম মজুমদার, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, অধ্যাপক আহমেদ কামাল, অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, জেড আই খান পান্না, শাহদীন মালিক, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অর্থনীতিবিদ আহসান মনসুর, সাবেক সচিব আবদুল লতিফ মন্ডল, স্থপতি মোবাশ্বের হাসান, শামসুল হুদা, অধ্যাপক সি আর আবরার, আইনজীবী সারা হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, লুবনা মরিয়ম, অধ্যাপক আকমল হোসেন, অধ্যাপক স্বপন আদনান, শারমিন মুরশিদ, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম, সাবেক ব্যাংকার সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, আবু সাঈদ খান, গোলাম মোর্তুজা, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, অধ্যাপক নায়লা জামান খান, জাকির হোসেন ও কর্মী নূর খান লিটনের অভিযোগের সাথে আমি সহমত পোষণ করেছি শুরু থেকেই; চেয়েছি সমাধান হোক সকল অন্যায়-অপরাধের-সংকটের। এই করোনা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নতুন বছরের আলোকিত সকাল আমার প্রত্যাশা। স্বাধীনতার-স্বাধীকারের পক্ষের প্রত্যয়ী আমি-আমরা-নতুনধারা চাই সকল জঞ্জাল পেছনে ফেলে লোভ মোহহীন নিরন্তর রাজপথ-কাজপথ। যেখানে নির্মমতা থাকবে না, থাকবে না নিরন্ন মানুষের কান্না, থাকবে না বেকারত্ব-দারিদ্র-দুর্নীতি-সন্ত্রাস-খুন-নারী নির্যাতন-ধর্ষণ-নিপীড়ন...
মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি