মুলাদী উপজেলার সদর ইউনিয়নের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে আবারও সাধারণ মানুষের চেয়ারম্যান হতে চান মো. কামরুল আহসান। জনগনের আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে জনপ্রত্যাশা পূরণ এবং সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখার অঙ্গীকারের শতভাগ সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আসন্ন মুলাদী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পুনঃরায় নির্বাচিত হওয়ার আশা প্রকাশ করছেন তিনি। ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দক্ষিণ বাংলার আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অভিভাবক, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক চিফ হুইপ, পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী) আলহাজ¦ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির সমর্থন ও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে মুলাদী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামরুল আহসান। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি জনগনকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে দিন রাত পরিশ্রম করেছেন এবং এখনও কাজ করে যাচ্ছেন। ইউনিয়নের অবকাঠামো উন্নয়নের তিনি প্রায় ৩৫টি ব্রিজ, ২০টি কালভার্ট, ২৫টি নতুন রাস্তা নির্মাণ করেছেন। সরকারি অর্থায়নে এলাকার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, হাট-বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সোলার স্টিক লাইটিং এর ব্যবস্থা করেছেন। ইউনিয়নবাসীর বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করতে ইউনিয়নের বিভিন্ন বাড়ি ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২ শতাধিক গভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন।
কামরুল আহসান তার ইউনিয়নে ভূমিদস্যুদের দখলে থাকা জমি উদ্ধার করে সেখানে সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প ‘জমি নাই ঘর নাই’ এর আওতায় ১০০ পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। এ ছাড়া জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের অধীনে ওই ইউনিয়নের ৩৫টি পরিবারের জন্য সরকারি অর্থায়নে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন তিনি। মুলাদী সদর ইউনিয় চেয়ারম্যান মো. কামরুল আহসান তার ইউনিয়নে শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করেছেন। ইউনিয়নে এমন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই যেখানে তার উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। মুলাদী সদর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে আড়িয়ালখাঁ (ছৈলা) নদী প্রবাহিত হওয়ায় ওই নদীতে জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। সাধারণ জেলেদের সুবিধার্থে সরকার প্রদত্ত ভিজিডি কার্ড সহায়তার পাশাপাশি তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার জন্য তিনি ইতোমধ্যে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কর্মীসভা করেছেন। তার জনপ্রিয়তায় ওইসব কর্মীসভা জনসভায় পরিণত হয়েছিলো বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করে কামরুল আহসান একজন কর্র্মীবান্ধব নেতা হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। মুলাদী সদর ইউনিয়নের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী) আলহাজ¦ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির সমর্থন ও দোয়া এবং আবারো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে মুলাদী ইউনিয়নের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে ইউনিয়নকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করবেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া তৃণমূল পর্যায়ে পৌছে দিয়ে একটি আধুনিক ইউনিয়ন হিসেবে রূপান্তরের জন্য কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামরুল আহসান।