বগুড়ার শেরপুর নৈশপ্রহরীর অবহেলায় ১ জনুয়ারী শুক্রবার গভীর রাতে বিশ্বা দ্বিমূখী উচ্চবিদ্যালয়ের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দুইটি কক্ষে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে বছরের নতুন বই। এ ঘটনায় ২ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিশ্বাদ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম।
অভিযোগ সুত্রে যানা যায়, শুক্রবার স্কুলে বই বিতরণ ও অফিসিয়াল কাজ শেষে স্কুল বন্ধ করে চলে যায় শিক্ষকরা। রাত্রিতে নৈশপ্রহরী না থাকায় স্কুলের দুটি দরজা ভেঙ্গে দুর্বৃত্তরা ঘরে প্রবেশ করে খর দিয়ে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে ১৬টি ব্রেঞ্চ পুড়ে যায়। শীতকালীন হওয়ায় আগুনগুলো নিভে যায় এবং অল্পের জন্য বেচে যায় সরকারের দেয়া বছরের নতুন বই। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম স্কুলে এসে দেখে দরজা ভাঙ্গা। বেঞ্চগুলো পোড়া দেখতে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, নৈশপ্রহরী না থাকায় একের পর একটি ঘটনা ঘটছে। এর আগেও ৫টি সিলিং ফ্যান চুরির ঘটনা ঘটেছে। থানায় একটি সাধারন ডায়রীও করা আছে। এ ব্যাপারে স্কুল কমিটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন বাবু জানান, স্কুলে নৈশ প্রহরী না থাকায় এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। আমরা ৩বার নৈশপ্রহরীকে নোটিশ করেছি কিন্তু তার কোন উত্তর দেয়নি সে।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।