শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সুতিয়াখাল মৎস্য চাষ সমবায় সমিতির দেড় কোটি টাকার মাছ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগপত্র ও সুতিয়াখাল মৎস্য চাষ সমিতি সূত্র জানায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার নালিতাবাড়ী, কাকরকান্দি ও রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা সুতিয়াখালে উপজেলা সমবায় দপ্তর থেকে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে মৎস্য চাষ করে আসছে সুতিয়াখাল মৎস্য চাষ সমবায় সমিতি লিঃ নামক সমিতি। গত ১ জানুয়ারী শুক্রবার সকালে স্থানীয় আবু ইলিয়াস সাদ্দাম ও শফিকুর রহমানের নের্তৃত্বে ৭০-৮০ জন জেলে বিছান জাল, কারেন্ট জাল নিয়ে খালে নেমে সমিতির প্রায় দেড় কোটি টাকার মাছ লুটপাট করে এবং এ সময় মৎস্য চাষ সমিতির সভাপতি মাছ লুটপাটের খবর পেয়ে সমিতির সদস্যদের নিয়ে বাধা দিতে গেলে সেই বাধা নিষেধ না মেনে দুপুর পর্যন্ত মাছ ধরে বলে অভিযোগ পত্রে বলা হয়। পরে ওই দিন দুপুরে এলাকার লোকজন ও সাংবাদিক খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যায় এবং তারা খাল থেকে ওঠে যায়।
এ বিষয়ে সুতিয়াখাল মৎস্য চাষ সমিতির সভাপতি সোহরাব আলী বলেন- সুতিয়াখালে সমিতির সদস্যদের কষ্টার্জিত অর্থে প্রায় ১কোটির ওপরে মাছের পোনা ছেড়েছি। কিন্তু হঠাৎ করে সাদ্দাম ও শফির নের্তৃত্বে আমাদের মাছ গুলো লুটপাট করা হয়। এতে করে আমাদের প্রায় দেড় কোটি টাকার মাছ ক্ষতি সাধিত হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
স্থানীয় খোকন মিয়া বলেন- হঠাৎ করে ৭০-৮০ জন জেলেকে নিয়ে কারেন্ট জালের সাহায্যে জোরপূর্বক মাছ গুলো সাদ্দাম ও শফি লুটপাট করে। এতে মাছ চাষ সমিতির প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হইছে৷ এখন এই সমিতির সদস্যরা অসহায় হয়ে পড়েছে। এর সুষ্ঠ বিচার করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থার দাবী জানচ্ছি।
অভিযোগের বিষয়ে আবু ইলিয়াস সাদ্দাম বলেন, আমরা শুনতে পেরেছি গত শুক্রবার কিছু লোকজন খালে মাছ ধরতে গিয়েছিল। আমরা খবর পাওয়া মাত্র তাদের মাছ ধরতে নিষেধ করেছি এবং তারা খাল হতে উঠে চলে গেছে। তবে এসব বিষয়ে আমরা এলাকার সবাই মিলে বসে আগামীতে কিভাবে সুতিয়া খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি চলবে এবং এই খাল হতে মৎস্য চাষীরা কিভাবে মাছ ধরবে এই বিষয়েও বিধি অনুযায়ী সিন্ধান্ত গ্রহন করা হবে।