জননেত্রী সৈনিকলীগের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা মো. সেলিম বলেছেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সরকারকে উৎখাত করতে গিয়ে নিজেরাই উৎখাত হয়ে যাবে। কারণ; তাদের দলের কোন সাংগঠনিক ভিত্তি নেই। নেতারা দলাদলিতে ব্যস্ত। তারা জনগণের কল্যাণে কোন কাজ করেনা। বিএনপি এখন নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে। তাদের দলের মধ্যেই দ্বন্দ্বের তুষের আগুন জ¦লছে। তারা আবার অন্য দলকে কিভাবে উৎখাত করবে? আগে নিজেদের ঘর সামলান। তারপর অন্য চিন্তা করেন। মনে রাখবেন- আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার। এই সরকার জনগণের কল্যাণেই কাজ করছে। দেশে এখন গণতন্ত্র নেই বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে মন্তব্য করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং তাদের আমলে দেশে গণতন্ত্র ছিলনা। গণমাধ্যমের কোন স্বাধীনতা ছিলনা। সমালোচনা করলেই মামলা-হামলা চালিয়ে বিএনপি অন্যান্যের দমন করেছিল। বাংলাদেশে এখন অবাধ স্বাধীনতা থাকার কারণে বেশকিছু টিভি চ্যানেল, পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ ভালভাবেই খবর প্রচার করছে। এতে অনেক সাংবাদিকের কর্মসংস্থানও হয়েছে।
সোমবার সকালে জননেত্রী সৈনিকলীগের চট্টগ্রামের হালিশহরের সবুজবাগে সংগঠনের কার্যালয়ে চসিক নির্বাচন সংক্রান্ত এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. সেলিম এসব কথা বলেন। এ সময় সৈনিকলীগের চট্টগ্রাম মহানগর এবং থানার নেতৃবৃন্দরাও উপস্থিত ছিলেন। মো. সেলিম সভায় আরো বলেন, আওয়ামী লীগ গরীব-দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করছে। বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ভিজিএফ কার্ড, আশ্রয়ণ প্রকল্প ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে গরীব অসহায় পরিবারে আজ স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিচ্ছে। মানুষের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে জনগণ কখনোই ধোঁকা খায়নি। খাবেওনা। উন্নয়নের ধারাকে আরো গতিশীল করতে চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকায় ভোট দেয়ার পাশাপাশি দল সমর্থিত কাউন্সিলরদেরও ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে। দলের মেয়র নির্বাচিত হলে আগামী ৫ বছরে আমরা একটি স্বপ্নীল চট্টগ্রাম জনগণকে উপহার দেব। মো. সেলিম আরো বলেন, আমি নিজে দলকে চাঙ্গা করার জন্য চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলায় কাজ করছি। অতীতে গরীব-দুখীর পাশে যেভাবে ছিলাম সামনেও থাকবো। তবে দলের মধ্যে হাইব্রীড এবং অনুপ্রবেশকারীদের আর স্থান দেয়া যাবেনা। এরা দলকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কেন্দ্রীয় নেতারা এই বিষয়ে নজর দিতে হবে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য সকল কিছু ত্যাগ করতে প্রস্তুত আছি।