রাজশাহীর পুঠিয়ায় নেশাগ্রস্থ পাশন্ড স্বামী তার স্ত্রী ও পাঁচমাসের শিশু কন্যাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। গতরাত একটার দিকে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের গোপালহাটি ফকিরপাড়া মহল্লায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ আলী (২৬) গত রাতে একটার দিকে পুঠিয়া পৌরসভার ৩নং গোপালহাটি ওয়ার্ডের ফকিরপাড়া মহল্লায় স্ত্রী এক আডাই বছর বয়সের ছেলে পাঁচমাস বয়সী কন্যা শিশুকে নিয়ে নেশাগ্রস্থ পাশন্ড স্বামীর ফিরোজ আলী বসবাস করত। তাঁর স্ত্রী পলি খাতুন (২০) ও পাঁচমাস বয়সী শিশু কন্যা ফরিহাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। ঘুমিয়ে থাকার কারণে আড়াই বছরের শিশুপুত্র ফাহিম আলী বেঁচে যায়। রাতে ফাহিম আলীর কান্না শুনতে পেয়ে ফিরোজের বাবা মা ঘরে ঢুকে পলি ও ফরিহাকে বিছানায় অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুঠিয়া থানা পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধর করেছে। ঘাতক ফিরোজ পালানোর সময় ঢাকার গাবতলী এলাকায় একটি যাত্রীবাহি বাস থেকে সেখানকার পেট্রোল টিমের পুলিশের মাধ্যমে আটক করা হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ আলী বিয়ের আগে থেকেই নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। গত চার বছর পূর্বে পুঠিয়া পৌরসভার ৪নং কৃষ্ণপুর ওয়ার্ডের কৃষ্ণপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার জুলহাস আলীর মেয়ে নিহত পলি খাতুনের সাথে বিয়ে হয় ফিরোজের। বিয়ের পর থেকে নেশার টাকার জন্য সে তার বাড়ি বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করে করতো। এ নিয়ে তার স্ত্রীর পলির সাথে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। মাঝে মধ্যে ফিরোজ তার স্ত্রীকে শারিরিক নির্যানত চালাত। সোমবার দিবাগত রাত্রি নেশার টাকার জন্য তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া এ পর্যায়ে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে পুলিশের ধারনা। হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে
পুঠিয়া থানার কর্মকর্তা ইনর্চাজ (তদন্ত) খালেদ হোসেন বলেন, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশের পাশ থেকে একটি বড় বালিশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে, দুইজনকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করা প্রস্তুতি চলে বলে।