ইংরেজী ২০২১ সালের প্রথম সপ্তাইে শুরু হয়েছে জলচর পাখিশুমারি কার্যক্রম। শুমারির প্রথম দিন রাজশাহীর পদ্মা নদীর ৩৯ কিলোমিটার এলাকায় অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৪১ প্রজাতির মোট ২৭০৯টি জলচর পাখির পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ পাওয়া গেছে ৫৭৭টি প্রিয়ং হাঁস। শুমারিকালে বিরল প্রজাতির ‘কালো মানিকজোড় ও ফুলুরি হাঁস’ পাখির সন্ধান পাওয়া গেছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে আইইউসিএন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম কর্মকর্তা সরোয়ার আলম দিপু মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বিকালে প্রতিবেদককে জানান, প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংঘ আইইউসিএন বাংলাদেশের ওয়াইল্ড বার্ড মনিটরিং প্রোগ্রাম ও সুইডেনের লিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে সোমবার (৪ জানুয়ারি) থেকে পাখিশুমারি শুরু হয়েছে। শুমারির প্রথম দিন রাজশাহীর পদ্মা নদীর প্রায় ৩৯ কিলোমিটার (পদ্মা নদীর চর খানপুর থেকে মাঝারদিয়াড় চর পর্যন্ত) অংশে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
আগামী এক সপ্তাহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই পাখিশুমারি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে উল্লেখ করে সরোয়ার আলম দিপু বলেন, এ বছর পদ্মা নদীতে পরিযায়ী পাখির প্রজাতি বাড়লেও পাখির সংখ্যা কম। গত বছর একই এলাকায় শুমারিকালে ৩৭ প্রজাতির মোট ৪০২৫টি পাখি গণনা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, আইইউসিএন বাংলাদেশ প্রতি বছরই পাখিশুমারির কাজ করে থাকে। এ শুমারিতে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সহযোগিতায় রয়েছেন বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব, রাজশাহী বার্ড ক্লাব ও বন অধিদপ্তরের সদস্যবৃন্দ। বছর শেষে ওয়েটল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি সংস্থা থেকে পাখিশুমারির ফল প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রোগ্রাম কর্মকর্তা।