চট্টগ্রামে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের সাজা দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুনসী আবদুল মজিদ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডিত নেজাম উদ্দিন (৪১) চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর এলাকার বাসিন্দা। নেজাম ঘটনার পর থেকেই গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছে।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি পিপি খন্দকার আরিফুল আলম জানান, ভুজপুরের ইসলামাবাদ গ্রামে নিজ বাড়িতে ২০১৯ সালের ১৬ জুন বিকেল সাড়ে ৩টায় নিজের ১২ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণ করেন বাবা।
এরপর ওই বছরের ১ জুলাই ভোর সাড়ে ৪টায় আবার শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তার বাবা। প্রথমবার ধর্ষণের বিষয়টি শিশুটির মা জানতে না পারলেও সেদিন শিশুটি সব ঘটনা খুলে বলে। একদিন পর ৩ জুলাই শিশুটিকে নিয়ে মা থানায় গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১) এবং ৯(৪)(খ) ধারায় মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এতে শিশুটির মাসহ মোট ১৩ জনকে সাক্ষী করা হয়।
গত বছরের ৫ মার্চ এ মামলায় আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আইনজীবী খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, আক্রান্ত শিশুটিসহ ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার বাদীও সাক্ষ্য দেন। পরে মামলার বাদী আদালতে এসে জানান, তারা আপোশ করেছেন এবং আসামিকে ক্ষমা করেছেন। কিন্তু ক্ষমাযোগ্য অপরাধ নয় বলে রাষ্ট্রপক্ষ তাতে অসম্মতি জানায়। আদালত সেটা নাকচ করেন।'
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদ- ও আদালত।
এছাড়া আইনের ৯(৪)(খ) ধারায় ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আরও পাঁচ বছরের কারাদ- এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
আইনজীবী জানিয়েছেন, দুই সাজাই একসঙ্গে কার্যকর হবে এবং আসামি যতদিন কারাগারে আছে তা সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।