ভৈরবের পৌর এলাকার সাতমূখী বিলের একটি মাছের প্রজেক্টের কুচুরী পানার ভিতর থেকে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে জহুরা বেগম নামের এক বৃদ্ধ মহিলার গলিত লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। সে উপজেলার দড়িচন্ডিবেড় এলাকা মৃত রসিদ মিয়ার সহধমনী বলে জানাগেছে। পুলিশ গলিত লাশটিকে বুধবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে প্রেরন করে।
জানাযায় গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে সাতমূখী বিলের কামাল মিয়া তার মাছের প্রজেক্টের মাঝে জমে থাকা কুচুরীপানা পরিস্কার করার সময় এক মহিলার অর্ধগলিত লাশ দেখতে পেয়ে ভয়ে বিষয় টি সে পুলিশ কে না জানিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর কে অবহিত করে বলে কামাল মিয়া। কিন্তু কাউন্সিলর রহস্য জনক কারণে বিষয় টি ভৈরব থানা কে জানায়নী। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে কামাল মিয়া ৯৯৯ ফোন দিয়ে মহিলার অর্ধগলিত লাশ ভাসার খবর টি জানায়। ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে যায় এবং গলিত লাশটি উদ্ধার করে। লাশটির বেশীর ভাগ অংশই মাছে খেয়ে ফেলেছে।
এ সময় সহকারী পুলিশ সুপার রেজোয়ান দিপু এবং ভৈরব থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃশাহিন ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।
ভৈরব থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃশাহিন বলেন ,আমরা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে গলিত অবস্থায় বৃদ্ব মহিলার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। খরব পেয়ে ভৈরবের দড়িচন্ডিবেড় এলাকা থেকে মমতা বেগম নামের মাঝ বয়সী এক মেয়ে এসে লাশ দেখে এটি তার মা জহুরা বগমের লাশ বলে সনাক্ত করে। গত ডিসেম্বার মাসের ২ তারিখে তার মা বাড়ী থেকে নিখোঁজ হয়। এ ব্যাাপারে ডিসেম্বার মাসের ৬ তারিখে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করেন তার পরিবারের পক্ষ থেকে আজ রাত ৯ টার দিকে সাতমূখী বিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।